চিঠি চালাচালি: রাজনীতিতে শীতল হাওয়া

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১২:০২ পিএম

গতকয়েক সপ্তাহ যাবত রাজনীতির নানা সমীকরণে চলছিল উত্তেজনা। মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছিল। যুক্তফ্রন্ট, ঐক্য প্রক্রিয়াসহ নানা জোট নানা পক্রিয়ায় ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামে মিলিত হয়ে সিলেট ও চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে। ৭ দফা দাবিও উপস্থাপন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নানা সমীকরণকে সরল রুপে সাজয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ দলীয় জোটের নানা সময়ে সংলাপের কথা নাকচ করে দিলেও হঠাৎ করে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ এর সংলাপকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে রোববার (২৮ অক্টোবর) বিএনপিকে নিয়ে জোট করা প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী সভাপতি শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে পৃথক চিঠি দেন।

সেই চিঠির বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী সংলাপের বিষয়ে সম্মতি দেন। 

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন। আমন্ত্রণপত্রে ড. কামালকে ধন্যবাদও দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

ড. কামালের বেইলি রোডের বাসায় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।

খালেদা জিয়ার রায়, জামায়াত নিষিদ্ধের পক্রিয়াসহ নানা কারণে রাজনীতিতে গুমোট ভাব ছিল। একটা অজানা আতঙ্ক কাজ করছিল মানুষের মাঝে। রাজনীতির এ ভাবনার জট খুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি সংলাপে সম্মত হলেন। দলের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলন করে সেটি জানিয়ে দিলেন, এবং সর্বশেষ সংলাপের দিনক্ষণ ঠিক করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আজ সকালে চিঠিও পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশিষ্টজনরাও এ সংলাপকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। তারা মনে করেন, এতে জনগণও স্বস্তি পাচ্ছে। তারাও (জনগণ) তো চায় রাজনৈতিক সমঝোতা হোক। শান্তিপূর্ণ একটা পথ চলা শুরু হোক।

এদিকে, আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য এটি প্রয়োজন ছিল। সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে (কৌশলে), আপাতত আন্দোলনের পথ বন্ধ হওয়ায় অনেকে যেমন ধরাশায়ী হয়েছেন, আবার সংলাপ সফল হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের রাস্তাও উন্মুক্ত হতে পারে।

পরে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে ওবায়দুল কাদের জানান, ‘আমি আজ আপনাদের ও পুরো জাতিকে সারপ্রাইজ দেব। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে এই সুখবর জানাব। এ খবরে রাজনীতির মাঠে শান্তির বাতাস বইবে বলে মনে করি।’

এরপরই তিনি সংলাপের বিষয়ে দলীয় সভাপতির সম্মতির কথা জানান। পরে রাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঐক্যফ্রন্ট নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টুকে টেলিফোন করে সংলাপের জন্য ঐক্যফ্রন্টকে গণভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে মহসিন মন্টু তার জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সময় দিবেন বলে জানান।

বিডি২৪লাইভ/এসআই/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: