মা ইলিশ রক্ষায় ৭৩ জনকে সাজা 

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩৫ পিএম

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে মা ইলিশ রক্ষার সময় কালীন ২২ দিনে উপজেলা প্রশাসন, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ানের পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মোট ৭৩ জনকে আটক করেছে সেই সাথে ১৮১.৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৯.০৮ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল ও ১.০০৫ মে.টন মা ইলিশ জব্দ করেছে। 

আটককৃতদের ৬৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে জেল, ৪ জনের ৫ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়। জব্দকৃত জালগুলো জনসম্মুখে পোড়ানো হয় এবং ইলিশ দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়। 

মঙ্গলবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে দিনে অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাহসিকতার সাথে কাজ করে নদীতে জাল রাখতে না দেওয়ায় মা ইলিশ এর ডিম ছাড়া ও নিষিদ্ধ হওয়া নিশ্চিত করেন। রাতে দিনে কয়েকটি টিমের মাধ্যমে বাজার, আড়ৎ, মাছঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রাখেন। 

তাছাড়া বাজার পরিদর্শন ২৫৬ টি, মাছ ঘাট পরিদর্শন ১১১টি ও আড়ৎ পরিদর্শন করা হয় ১২৮ টি। ২৮ টি মোবাইল কোর্ট ও ৫০ অভিযান টি সম্পন্ন হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এর স্বদিচ্ছা ও সহযোগিতায় কাজ আরও বেগমান হয় বলেও মৎস্য কর্মকর্তা জানান। 

এছাড়াও মৎস্য দপ্তরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহীন কবীর কঠোর পরিশ্রম করেন এ অভিযানে। জল দস্যুরা মৎস্য দপ্তরের স্টাফকে গুরুতর আঘাত করে। তিনি ঢাকাতে চিকিৎসাধীন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা। তবুও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভয়ে ভীত না হয়ে সাহসের সাথে অভিযান চালান। 

এলাকাবাসীরা বলেন, আমাদের জীবনে এমন অভিযান দেখি নাই এবার তো রাতে দিনে প্রায় সব সময় অভিযান হইছে। সবাই আশা করছে এবার ইলিশের উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে। 

উল্লেখ্য যে, পাংশায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শুরুর আগে বিভিন্ন ইউনিয়নে ১২ টি মতবিনিময় সভা ও পথসভা, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, লিফলেট বিতরণ এবং স্থলে জলে মাইকিং করে ইলিশ না ধরার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য প্রচার করা হয়।  

তাছাড়া পদ্মা নদী সংলগ্ন হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের নিবন্ধনকৃত ৪৮২ জন জেলেকে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইলিশ রক্ষা অভিযানে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে পাংশা ও কালুখালীতে সততা ও সাহসিকতার সাথে কাজ করেন। 

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: