কোচিং সেন্টারে আটকে রেখে ছাত্রীকে টানা তিন দিন ধর্ষণ!

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১২:১৩ পিএম

মাদারীপুরে একটি কোচিং সেন্টারে এক ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শহরের কলেজ রোড এলাকার ওই কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় ও সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শহরের কলেজ রোড এলাকার মজিবুর খানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করাতেন রফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক। কোচিংয়ের সূত্রে ধরে নির্যাতিত ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় রফিকুলের। কিন্তু, রবিবার (২৮ অক্টোবর) কোচিংয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে কোচিং সেন্টারের এক রুমে ডেকে নেন। পরে তাকে আটকে রেখে টানা তিন দিন ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) রাতে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এ সময় পালিয়ে যায় কোচিং শিক্ষক রফিকুল।

জানা যায়, অভিযুক্ত কোচিং শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর এলাকার মজিবর বেপারীর ছেলে।

ভূক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, রফিক আমাকে বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে তিন দিন ধরে আমার সাথে খারাপ কাজ করছে। কোচিংয়ের সময় আমাকে রুমের মধ্যে আটকে রাখত। কারও সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলতে দিত না। এমনকি আমার মোবাইল ফোনও তার কাছে।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম জানান, নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। কোচিং শিক্ষক রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষকের কোচিং সেন্টার থেকে কনডম উদ্ধার করা হয়েছে। ভূক্তভোগী মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষার পরে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ওসি সিরাজুল ইসলাম।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: