চমকের নেত্রী ‘শেখ হাসিনা’

প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩৪ পিএম

চমকের নেত্রী ‘শেখ হাসিনা।’ অবাক হওয়ার কিছু নেই। আসলে তিনি চমকের নেত্রী। রাজনীতির ময়দানের যখন টান টান উত্তেজনা। ঠিক তখনই সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে চমকে দিয়েছেন পুরো জাতিকে। একটি নয় তিনটি জোটের সঙ্গে সংলাপ। তাও আবার একই সপ্তাহে। তার চেয়ে বড় চমক আর কি হতে পারে। তাছাড়া ধানমন্ডিতে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হঠাৎ ভিডিও কল দিয়ে নেতাকর্মীদের চমক দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপের আহ্বানকে প্রত্যাখান করে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি। পাঁচ বছরের ব্যবধানে রাজনীতিতে দেখা গেল উল্টো চিত্র। এবার সরকার বারবার নাকচ করার ইঙ্গিত দিয়েও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার একেবারে আগমুহূর্তে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বানে শেষ পর্যন্ত সাড়া দিল আওয়ামী লীগ, বর্তমানে ঐক্যফ্রন্টের কেউই জাতীয় সংসদে সদস্য হিসেবে নেই।

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত এ সংলাপ। এই সংলাপের সুযোগ প্রধানমন্ত্রীর চমক ছাড়া আর কিছু বলতে নারাজ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলছেন, আমাদের নেত্রীর এমন চমক আমরা মাঝে মধ্যেই পেয়ে থাকি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে নেত্রীর ডাকা সংলাপের আহ্বানকে প্রত্যাখান করেছিলেন বিএনপি। তখন তার ডাকে সাড়া দেয়নি। এরপর থেকে বার সংলাপের কথা নাকচ করে দিয়েছিলেন। রাজনীতিতে চমক দেয়ার জন্যই তিনি তফসিল ঘোষণার মাত্র কয়েক দিন আগে সংলাপের সুযোগ দিলেন। যা কিনা চমক ছাড়া আর কিছু না। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছেই রাজনীতির ময়দানের উত্তেজনাকে শীতল করে সংলাপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দ্বার উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে।

সংলাপের নাকচের পর হঠাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি জোটের সাথে সংলাপে বসতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আজ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপে প্রথম যাত্রা শুরু হবে গণভবনে।

আগামী ২ নভেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এবং ৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে।

এছাড়া, গতকাল বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘটেছে একটি চমকান্ড। কাউকে কোন কিছু না জানিয়েই অফিসে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কল করেন। অফিস রুমের এলইডি টিভিতে ভিডিও ওয়েবক্যাম লাগানো ছিল। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন নেতাকর্মী প্রথমে এটাকে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান ভাবলেও পরে পুরো পর্দাজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও সবার দিকে তাকিয়ে কেমন আছেন জানতে চাওয়ায় উপস্থিত সবাই চমকিত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে সোরগোলে অন্যান্য রুম থেকে সবাই কনফারেন্স রুমে চলে আসেন এবং দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

নেতাকর্মী ও স্টাফদের সবাই প্রধানমমন্ত্রীর সঙ্গে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এ সময় শেখ হাসিনা সবার উদ্দেশ্যে বলেন, খালি দেশ ডিজিটাল করলেই হবে না, নিজের দলকেও ডিজিটাল করতে হবে। আমি তো চাইলেও মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে কার্যালয়ে যেতে পারি না। তাই নিজের কার্যালয় ডিজিটাল করেছি, যাতে যেকোন প্রান্ত থেকে সংযুক্ত হয়ে যেকোন বিষয়ে কথা বলতে পারি। এখন থেকে নিয়মিতই ভিডিও কলে যুক্ত হবার ইচ্ছা আছে।

ডিজিটালাইজড প্রক্রিয়ায় সারাদেশের দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিডি২৪লাইভ/এসআই/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: