‘মৃত্যুকে আর ভয় লাগছে না মা’ (ভিডিও)

প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:০২ পিএম

ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসছিল তাদের দিকে। চোখের সামনে দেখতে পেলেন তারই সহকর্মী গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। মাঝখানে তারা, আর চারপাশে তখন প্রায় আড়াইশো মাওবাদী ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) ভারতের ছত্তীসগড়ের দন্তেওয়াড়ায় নির্বাচনের খবর ‘কভার’ করতে দিল্লি থেকে ছত্তীসগড় এসেছিলেন দূরদর্শনের তিন কর্মী। ধীরজ কুমার, অচ্যুতানন্দ সাউ এবং মোরমুক্ত শর্মা। এদের মধ্যে ধীরজ সাংবাদিক এবং মোরমুক্ত লাইট অ্যাসিস্ট্যান্ট। সাংবাদিকদের দলটির আগেই মোটরবাইক করে এলাকা টহল দিচ্ছিল স্থানীয় পুলিশের বাহিনী। সকাল ১১টা নাগাদ সেই বাহিনীর উপরই হামলা চালায় মাওবাদীরা। বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসে। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় চিত্র সাংবাদিক অচ্যুতানন্দ শাহুর। নিহত হন আরও দুই পুলিশকর্মী।

চোখের সামনেই সহকর্মীকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখে প্রথমে খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন দূরদর্শনের লাইট অ্যাসিস্ট্যান্ট মোরমুক্ত শর্মা। তার মৃত্যুও যে নিশ্চিত তা আশঙ্কা জঙ্গল থেকেই মায়ের উদ্দেশে একটি বার্তা দিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করেন। 

ভিডিওটিতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘মা আমি তোমাকে খুব ভালবাসি। মাওবাদীদের হামলার মুখে পড়েছি। হয়ত এই হামলায় আমার মৃত্যুও হতে পারে। জানি না কেন মৃত্যুকে সামনে দেখে ভয় লাগছে না।’ 

চারপাশে তখন শুধু গুলির আওয়াজ। পুলিশ ও মাওবাদীদের মধ্যে তুমুল গুলির লড়াই চলছিল। মোরমুক্তকে দেখা যায় মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে রয়েছেন। ফোনের ভিডিও চালু করে ফিসফিস করে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘চারদিকে মাওবাদীরা ঘিরে ফেলেছে। বাঁচার উপায় নেই।’ তার পরই ভিডিওটি বন্ধ হয়ে যায়।

মোরমুক্ত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে পেরেছেন। কিন্তু অচ্যুতানন্দের সেই ভাগ্য হয়নি। এখনও যেন একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছেন মোরমুক্ত। 

জানান, চোখ বুজলেই সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্যটা সামনে ভেসে উঠছে। চোখের সামনে সহকর্মীর মৃত্যুকে যেন কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার  

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: