শরীয়তপুর-২ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জোবায়দা হক অজন্তা

প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:৫৬ এএম

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শরীয়তপুর-২ আসনের (নড়িয়া) প্রথম সংসদ সদস্য ছিলেন শহীদ এ এফ এম নুরুল হক হাওলাদার। নির্বাচিত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি আঁততায়ীর গুলিতে শহীদ হন। বর্তমানে শরীয়তপুর-২ আসনটি নড়িয়া উপজেলার সাথে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাকে যুক্ত করা হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী শহীদ নুরুল হকের সুযোগ্য কন্যা জোবায়দা হক অজন্তা। 

তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের সালধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শেষ করে শহীদ নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে টিএম গিয়াস উদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। 
এছাড়া বর্তমানে তিনি আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তিনি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১০ বছরের সাফল্য সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। তিনি আশা করছেন দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে তার বাবার সুনাম ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে জনগণের কাঙ্খিত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। 

জোবায়দা হক অজন্তা বলেন, নড়িয়া-সখিপুরের মাটিতে আমার বাবা এমপি নুরুল হকের রক্ত লেগে আছে। এই এলাকার মাটি ও মানুষদের সাথে ছিল তাঁর আত্মীক সম্পর্ক। এই এলাকার উন্নয়নকে মাথায় রেখেই তিনি তাঁর স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন কিন্তু তাঁর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তাকে হত্যা করে এই এলাকার মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেয়া হয়। আমরা তখন ছোট্ট শিশু ছিলাম। বাবার আদর্শকে বুকে ধারন করে আমরা বড় হয়েছি। আগামী নির্বাচনে আমাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে নৌকার জয়কে সুনিশ্চিত করে বাবার অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের সারথী হয়ে এলাকার মানুষের জন্য নিজেকে নিবেদন করতে চাই। 

এ লক্ষ্যে তিনি নিয়মিত নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি এলাকার বিশেষ করে নবীন, প্রবীন ও মধ্যবয়সী ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। অজন্তা গণতন্ত্রের মানস কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে বিভিন্ন দোয়া অনুষ্ঠানে ও প্রার্থনায় যোগদান করেন। একজন নারী হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য তিনি ইতোমধ্যে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছেন। তার জনসংযোগ ও বিনয়ী আচরণে ভোটারদের কাছে নতুন আশার আলো হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। তিনি আশা করেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দিলে দলের মধ্যে কোন কোন্দল বা অন্তর্দ্বন্দ থাকবে না। সকলে মিলে মিশে এই আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়ে নৌকার বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন।

বিডি২৪লাইভ/এসএইচআর/এমআর


 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: