উন্নয়নের মহাসড়কে শেরপুরের নালিতাবাড়ী

প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:০৯ পিএম

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর হাত ধরে প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। এক সময়ের গারো পাহাড় এলাকা হিসেবে পরিচিত অবহেলিত এলাকা নালিতাবাড়ী। তাঁর উদ্যোগে বাস্তবায়িত উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপট।

১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর হাতের ছোঁয়ায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়নগুলো হলো- নাকুগাঁওকে স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা এবং একে পুর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা, মধুটিলা ইকোপার্ক স্থাপন, ভোগাই ও চেল্লাখালীতে ৩টি পৃথক রাবার ড্যাম স্থাপন, নালিতাবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, শহীদ আব্দুর রশিদ মহিলা ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা, নাকুগাঁও ভোগাই ব্রিজ ও বুরুঙ্গা ব্রিজ স্থাপন, সীমান্ত মহাসড়ক তৈরি, নকলা থেকে নাকুগাঁও পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার মহাসড়ক তৈরি, কর্মজীবি মহিলা হোস্টেল কাম ট্রেনিং সেন্টার, সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতি প্রাঙ্গন, ৩১ শয্যা উপজেলা হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, ১০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন হাসপাতাল নির্মাণ (নির্মাণাধীন), ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপন, কৃষি সেন্টার নির্মাণ (নির্মাণাধীন), হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপন (বাস্তবায়নাধীন), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিনা) স্থাপন, মরিচপুরান টেকনিক্যাল কলেজ (বাস্তবায়নাধীন), শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজ প্রতিষ্ঠা, হাতিপাগার থেকে টেংরাখালী পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়ক দুই লেনে উন্নীতকরণ, দর্শা খাল ও বুড়ি ভোগাই পুনঃখননের মাধ্যমে অনাবাদি জমি সেচের আওতায় আনা, ধরা খাল সংস্কার, চেল্লাখালী নদী পুনঃখনন, নাগের খাল সংস্কার, মালিঝি নদীর আংশিক পুনঃখনন, মরিচপুরান-পিছলাকুড়ি ভোগাই ব্রিজ নির্মাণ, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অধিকাংশ প্রধান সড়ক পাকা করা, নিচপাড়া থেকে কালাকুমা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকা ও ভোগাই বাঁধ নির্মাণ (বাস্তবায়নাধীন), প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া, সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ডাগওয়াল বা পাতকুয়ার মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি কৃষিমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে নালিতাবাড়ী এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে।

এছাড়াও দেশব্যাপী সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাটের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন, টিআর এর টাকায় প্রায় অর্ধশত হলোস্টিল ব্রিজ নির্মাণ, অসংখ্য ছোট ও মাঝারি পাকা ব্রিজ নির্মাণ, উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন নতুন ভবন (নির্মাণাধীন), পৌরসভার নিজস্ব ভবন (নির্মাণাধীন), বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কলেজ সরকারীকরণ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মডেল এবং সরকারীকরণ, টিআর-কাবিখা’র টাকায় বিভিন্ন সময় প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে সোলার ল্যাম্প বিতরণ। এছাড়াও কৃষিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিবছর উদ্দীপনা পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান ও ২টি এতিমখানায় প্রতিবছর কোরবানীর ব্যবস্থা- এসব কার্যক্রম নালিতাবাড়ীকে নিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের রোল মডেলের দিকে। ফলে নালিতাবাড়ী উপজেলা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। একইভাবে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশি উপজেলা নকলা।

স্থানীয়রা মনে করেন, কৃষিমন্ত্রীর হাত ধরে নকলা ও নালিতাবাড়ী বিশেষ করে, নালিতাবাড়ীর যে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে তা আগামী প্রজন্মকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিবে। যা একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব। সীমান্তবর্তী একটি অবহেলিত উপজেলা ৯৬ সাল থেকে বেগম মতিয়া চৌধুরীর হাত ধরে যে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে তা বিগত সময়ের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এমতাবস্থায় এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে এমন প্রত্যাশাও করেন স্থানীয়রা।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: