ঐক্যফ্রন্ট ও জোটকে যে কয়টি আসন ছাড়তে পারে বিএনপি 

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২৬ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ৮০টি আসন ছাড়ার চিন্তা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সম্প্রতি নিজ উদ্যোগে দুই জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জরিপ চালিয়েছে দলটি।

সর্বাধিক জনপ্রিয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে সেই জরিপে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে দুই জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের আসন ছাড় দিতে চায় তারা।

এদিকে রবিবার (১১ নভেম্বর) রাত পর্যন্ত ২০ দলীয় জোটের বেশির ভাগ শরিক দল বিএনপির কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোও দু-একদিনের মধ্যে তালিকা দেবে। সব শরিক দল থেকে তালিকা পাওয়ার পর সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থীদের আসন চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানা যায়।

এদিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টন থেকে আজ সোমবার (১২ নভেম্বর) ও আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দুই দিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি করবে বিএনপি।

আর মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) ও বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুই দিন মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া যাবে।

প্রার্থী প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ২০ দলীয় জোটের অনেক দলই তাদের প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে। সব শরিক দলের কাছ থেকে প্রার্থীর তালিকা পাওয়ার পর কত আসন ছাড়া হবে, তা আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

একটি সূত্রে জানা যায়, বিএনপির কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরিক অধিকাংশ দল।

এর মধ্যে রবিবার রাতে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের এলডিপি তালিকা দিয়েছে। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম জানিয়েছেন, আমরা ৩০টি আসনে প্রার্থীর তালিকা জমা দিয়েছি।

জানা গেছে, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম তার দলের পক্ষ থেকে ১২ আসনের প্রার্থীর তালিকা করেছেন। আজ সকালে বিএনপির কাছে তা জমা দেবেন তিনি।

এদিকে জামায়াতের একটি সূত্র জানিয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৫০টি আসন চাইবে দলটি। দু-একদিনের মধ্যে তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করে বিএনপির কাছে তালিকা দেবে। এ দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবে তারা।

জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, গাইবান্ধা-৩, পিরোজপুর-১সহ ৭টি আসনের প্রার্থীর তালিকা আমরা চূড়ান্ত করেছি। আজ বিএনপির কাছে তা দেয়া হবে।

এছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়ের প্রার্থী তালিকার ব্যাপারে তিনি বলেন, দু-একদিনের মধ্যে আমাদের তালিকা চূড়ান্ত হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৩৫টি আসনে জামায়াত নির্বাচন করে। এসব আসন সংযোজন-বিয়োজন করে এবার তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ২০ দলীয় শরিকদের মধ্যে ১০টি দল এরই মধ্যে তাদের প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে।
অপরদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা এখনও প্রার্থী তালিকা দেয়নি। তবে দু-একদিনের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে তারা প্রার্থী তালিকা জমা দেবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা এখন পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করিনি।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছি। দু-একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী জানান, এ ব্যাপারে আজ আমাদের বৈঠক রয়েছে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে দু-একদিনের মধ্যেই আমরা দেব।

নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, প্রার্থী তালিকার কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।

বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে থাকায় পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটিই হবে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড। শিগগিরই পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠক হবে বলে জানান বিএনপির পর্যায়ের এই নেতা।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: