নয়াপল্টনে লাঠির সমাহার নিয়ে আরেফিন সিদ্দিকের প্রশ্ন

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:১৩ পিএম

গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় হঠাৎ করে লাঠির সমাহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি টক-শো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ বলেছে কোন রকম উস্কানি ছিল না। তাদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। বিএনপির নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং তারপর তারা আক্রমণ করেছে।

যেটাই হোক, যেদিক থেকেই শুরু হোক, ঘটনাটা খুব দুঃখজনক। পুলিশের আক্রমণ আমরা অনেকসময় দেখেছি। তাৎক্ষণিভাবে প্রতিক্রিয়াও হয়, পুলিশের উপর ঢিল ছোড়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে এতগুলো লাঠির সমাহার টেলিভিশনের স্কিনে দেখলাম, পত্রিকাতেও এসেছে।’

‘পুলিশের গাড়িতে শুধু আগুন দেওয়া না, সে গাড়ির ওপর উঠে নাচানাচি। বোঝাই যাচ্ছে, এখানে পূর্ব প্রস্তুতি ছিল কারো না কারোর। সেটা কি বিএনপির পক্ষ থেকে হয়েছে নাকি অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষ এরকম পরিস্থির সৃষ্টি করতে চেয়েছে, সে কারণে এখন যেটা দরকার, নির্বাচন কমিশনকে অতি দ্রুত তদন্ত কমিটি করে দেখা, কারা এ কাজটি করেছে, বলেন তিনি।

একই অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় আমরা দেখেছি দুজন মারা গেছে। এটাই সবাই জানেন, খবর হয়েছে। যিনি আসামী তাকে ধরা হয়েছিল। নুন্যতম সময়ে তাকে জামিন দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সময়ে একটা জিনিস লক্ষ্য করছি, হুকুমের আসামী বলে একটা জিনিস নতুনভাবে আমদানী করা হয়েছে। এই যে প্রবণতা, এই প্রবণতার ফলে এখন একরকমভাবে একপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, দিন বদল হলে অন্যপক্ষ ঠিক সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তখন আর আপনি পালানোর কোনো পথ পাবেন না। আপনিও হুকুমের আসামী হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবেন।’

বিডি২৪লাইভ/এসআর/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: