সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগে নানা জল্পনা-কল্পনা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩০ এএম

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালা-কলারোয়ার প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এই আসনে এবার দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যে মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ একাধিক কর্মসূচি পালন করেছে আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবি দলীয় এমপি না থাকায় তালা-কলারোয়ার সংগঠন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই এবার তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি তুলেছেন দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার।

এ দিকে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আসনটি আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ দিদার বখতের রয়েছে ব্যাপক ব্যক্তি ইমেজ। তাই আওয়ামী লীগে নীরব সমর্থকরা ভালো মানুষ হিসেবে সৈয়দ দিদার বখতকে বেশি পছন্দ করেন। 

বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ার্কাস পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে স্থানীয় আ’ লীগের একটি বড় অংশ সরাসরি বিরোধিতা করছে। 

তাদের দাবি ভিন্ন দলের এমপি হয়ে তিনি স্থানীয় আ’লীগের বিরোধ ও বিভেদ সৃষ্টি করছেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে দলীয় পোড় খাওয়া নেতাকর্মীদের অবহেলা ও অবজ্ঞা করার অভিযোগ। এসব দিক দিয়ে তাই মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত রয়েছেন নেতাকর্মীদের বিবেচনার প্রথম সারিতে। 

সৈয়দ দিদার বখত কলারোয়ার সকল দলের সাধারণ কর্মী সমর্থকের একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সদালাপী এই মানুষটি কলারোয়ার প্রতিটি জনপদে অতি পরিচিত মুখ। সে কারণে বলা যায়, একজন ভালো মনের সাদা মানুষ হিসেবে সৈয়দ দিদার বখত ব্যাপক জনপ্রিয়। 

এই মুহূর্তে এ আসনটি আওয়ামী লীগকে ধরে রাখতে হলে মহাজোটের গ্রহণযোগ্য প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখতকে মনোনয়ন দেয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় দেখছেন না স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

তালা-কলারোয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান জানান, এখানে শুধু দলীয় ভোট পেলেই যে নির্বাচনে জয়লাভ করা যাবে বিষয়টা এমন নয়। সাধারণ মানুষেরও ভোট হয়েছে। প্রার্থীকে অবশ্যই ইমেজধারী হতে হবে।

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ও আ’ লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, যেহেতু ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব সেহেতু সেক্ষেত্রে তাকে পরাজিত করতে হলে একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দরকার এবং আ’লীগের দলীয় প্রার্থী প্রয়োজন। 

রাজনৈতিক স্বার্থে যদি মহাজোট থেকে সমমনা প্রার্থী মনোনীত হয় তবে অবশ্যই আমরা তার পেছনে কাজ করবো। বর্তমান মহাজোট এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে দিয়ে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে হারানো অসম্ভব প্রায়। তবে তার বিকল্প হতে পারে জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: