সৌদি জোটের আগ্রাসনে ইয়েমেনে ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০১:৪২ পিএম

ইয়েমেনে সৌদি-আমিরাতি জোটের আগ্রাসনে গত সাড়ে ৩ বছরে চরম খাদ্যাভাব ও অপুষ্টির শিকার হয়ে প্রায় ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’।

সংস্থাটি ইয়েমেনে পুষ্টিহীনতায় নিহত ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়ে জাতিসংঘের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৭০১টি শিশুর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ জানিয়েছে।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন, তবে দেশটির অর্ধেক ভূখণ্ডের স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে, সেখানে কোনো রকম চিকিৎসা সুবিধা কাজ করছে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা অবরোধের মুখে থাকায় অনেক মানুষকে অভাবে অনাহারে দিন পার করতে হচ্ছে।

সৌদি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে খাবারের দাম বৃদ্ধি ও দেশের মুদ্রার মূল্যমানের পতন হওয়ায় আরও অনেক পরিবার খাদ্যের অনিশ্চয়তায় রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

এক সময় ইয়েমেনের মোট খাদ্য আমদানির ৯০ শতাংশই হুদাইদাহ বন্দর দিয়ে আসতো। হুথিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বন্দরটি দখলে নেয়ার জন্য সৌদি সমর্থিত ভাড়াটে সন্ত্রাসী হামলা শুরু করায় বাণিজ্যিক আমদানি কমে যায়। 

সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, এ বন্দর দিয়ে বাণিজ্যিক আমদানির পরিমাণ এক মাসে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কমেছে।

&dquote;&dquote;অপুষ্টির শিকার ইয়েমেনি শিশুরা

প্রতিবেদনে সেভ দ্য চিলড্রেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যদি প্রচণ্ড অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের চিকিৎসা না দেয়া হয় তবে বছরে প্রায় ২০-৩০ শতাংশ শিশু প্রাণ হারাবে।

অন্যদিকে, জাতিসংঘ গত মাসে ইয়েমেনের এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।

আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশের সহযোগিতায় ২০১৫ সালের মার্চ থেকে দরিদ্র প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনে হামলা শুরু করেছে সৌদি আরব। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত শিশুসহ ১৪ হাজারের বেশি ইয়েমেনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ চলাকালে সৌদি জোটের অবরোধে দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ আবদ্ধ হয়ে পড়ে, তাদের খাদ্য সরবরাহে চরম বিপর্যয় দেখা দেয়। এক কোটি ২০ লাখ মানুষের বসতি এলাকায় মারাত্মক আকারে কলেরা রোগ ছড়িয়ে পড়ে। সূত্র: পার্সটুডে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: