যে কথা বলে অঝোরে কাঁদলেন অরিত্রীর বাবা
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে কষ্টের গহীন সাগরে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছেন বাবা দিলীপ অধিকারী।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার একটি মন্দিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেয়ে অরিত্রীর কথা স্মরণ করে বক্তব্য দিতে গিয়ে অঝোরে কাঁদলেন তিনি।
অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষকদের বলেছিলাম আমি ব্লাড প্রেসারের রোগী। আমার স্ত্রীর নিউরো সমস্যা আছে। তাই হয়তো মেয়ের যত্ন নিতে পারেনি। এবারের মতো ক্ষমা করে দিন। কিন্তু তারা আমাকে স্কুল থেকে বের করে দিল। এই অপমান সইতে না পেরে আমার মেয়েটা আজ নেই।’
দিলীপ অধিকারী কাঁদতে কাঁদতে আরও বলেন, ‘কখনও ভাবিনি যে মেয়ের মরদেহ এভাবে কাঁধে নিতে হবে। আমি জানি এটা কত কষ্টের। বাবা হিসেবে আমি ব্যর্থ যে মেয়েকে সঠিক দিকনিদের্শনা দিতে পারেনি। তা না হলে পরীক্ষার হলে মোবাইল টা নিয়ে গেল কেনো...।’
নিহত অরিত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি আর ওই স্কুলে কখনও যাবো না। আমার পরিবারের কেউ হয়তো যাবে না। আপনারা আমার মেয়েকে ক্ষমা করে দিবেন। ও যদি কোনো ভুল করে থাকে।’
উল্লেখ্য, সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শান্তিনগরে ৭ তলা ভবনের সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাটে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীকে (১৫)। তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী’ হিসেবে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার শিফট ইনচার্জ জিনাত আরা ও প্রভাতী শাখার শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে মামলা করেন অরিত্রীর বাবা।
পরে এ ঘটনায় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: