সিইসি এখন বধির হওয়ার অভিনয় করছে

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৫০ পিএম

ড. কামাল হোসেনের মতো একজন সম্মানীত ব্যক্তির গাড়িতে হামলার বিষয়টি নাকি ইসি সচিবের অজানা। তাদের নির্দেশে আমাদের প্রচারনায় হামলা করছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সিইসি নুরুল হুদা বোবা-বধির- অন্ধ হওয়ার অভিনয় করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। 

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৮ টায় নয়া পল্টনের বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দেশে স্মরনকালের এক অকল্পনীয় সন্ত্রাসী শাসন চলছে গত কয়েকদিন। ভয়ংকর পরিস্থিতি । পৃথিবীর কোন সভ্য রাস্ট্রে এই ধরনের অভাবনীয় অবস্থা কায়েম হয়েছে কি না আমাদের জানা নেই। 

রিজভী বলেন, নির্বাচনকালীন এই সময়ে নির্বাচন কমিশন-পুলিশ প্রশাসন -সিভিল প্রশাসন একটি অবৈধ দুরাচার স্বৈরশাসকের সাথে একজোট বেধে সারাদেশে ধানের শীষের প্রার্থী ওবং সমর্থকদের ওপর বর্রোচিত আক্রমন চালাচ্ছে। আমাদের প্রার্থীদের কোথাও নামতে দেয়া হচ্ছে না। নামলে বর্বর দস্যুদের মতো হামলা করে রক্তাক্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, একদিকে পুলিশ তাড়া করে পাইকারী হারে গ্রেফতার করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নৌকার প্রচারণা বাদ দিয়ে ওঁৎ পেতে থাকছে ধানের শীষের প্রার্থী সমর্থকদের ওপর হামলা করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে নৌকার প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় ধ্বস নেমেছে। লোকজন তাদের সাথে দেখা করছে না। তাদের প্রার্থীরা জনরোষে পড়ার ভয়ে পুলিশ প্রহরায় এলাকায় ঘুরছে। আর তাদের নির্দেশে আমাদের প্রচারনায় হামলা করছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। 

রিজভী সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, এখন আমাদের প্রার্থীরা কি করবে?? কেবল মার খাবে?

বিএনপির এ নেতা বলেন, ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকদের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও রুখে দাঁড়ানোর। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সারাদেশে সহিংস ঘটনার বিষয়ে পুলিশ বা অন্য কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনরূপ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

আমি আবারও দৃঢ়কন্ঠে জানাচ্ছি-যেহেতু আমরা সরকারী বা বৈধ কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে পরিত্রাণ বিষয়ক কোন আশ্রয়ই পাচ্ছি না, তাই এমতাবস্থায় আমাদের নেতা-কর্মীদের নিজে থেকেই আত্মরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নেই। আইনগতভাবে প্রত্যেক নাগরিকেরই অধিকার আছে তার নিজের এবং অপরের জান ও মাল রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার।

বিডি২৪লাইভ/এএফ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: