ইতিহাস গড়লেন সুলতান মনসুর

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:২৫ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের মৌলভীবাজার-২ আসনে বেসরকারি ফলে বিজয়ী হলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। গণফোরামের এই রাজনীতিবিদ ধানের শীষ প্রতীক থেকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭৪২ ভোট।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোটের শরীক যুক্তফ্রন্টের প্রধান দল বিকল্পধারার প্রার্থী এম এম শাহীন পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১৭০ ভোট।

মৌলভীবাজার-২ আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯৩টি। সবক’টির ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন সচিবালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে মৌলভীবাজার-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীক কখনও জয়ী হতে পারেনি। এমনকি কখনও তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আসতে পারেনি বিএনপির কোনও প্রার্থী। বরং ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে এ আসনে দুইবার জামানত হারায় বিএনপি।

এবার এই আসনে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে লড়লেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। জয়ী হয়ে এক নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।

মৌলভীবাজার-২ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মোট ৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে সুলতানের ধানের শীষ নিয়ে পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৪২ ভোট, নৌকা নিয়ে শাহীন পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১৭০ ভোট।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। এ কারণে জীবনের বড় একটা সময় তাকে কাটাতে হয়েছে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ে আত্মগোপনে।

১৯৮৯ সালে ডাকসু’র ভিপি পদে তার বিজয় ছিল ’৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের প্রথম আনুষ্ঠানিক কোনও জয়। তার নেতৃত্বে '৭৫-এর পর প্রথম বঙ্গবন্ধুর ছবি স্থান পায় ডাকসু ভবনে।

এবারের নির্বাচনী মাঠে হামলা-মামলায় শতশত কর্মী গ্রেফতারের পরও মনোবলে ভাঙন ধরেনি সুলতানের। যে আসনে কখনও জয়ী হতে পারেনি ধানের শীষ সে আসনে ধানের শীষ নিয়ে শেষ হাসি হাসলেন সুলতান মনসুর।

মৌলভীবাজার-২ আসনে প্রতি নির্বাচনে চমক থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দলীয় প্রতীকের চেয়ে এখানে সবসময় এগিয়ে থাকে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা।

১৯৯৬ সালে সুলতান মনসুর নৌকা প্রতীক নিয়ে এখান থেকে এমপি হয়েছিলেন, যা ছিল নৌকার সর্বশেষ জয়। এরপর কখনও জয় পায়নি নৌকা। কখনও জিতেনি ধানের শীষ।

এ বিষয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, আমি জনগণের ওপর আস্থাশীল ছিলাম। আমার বিশ্বাস, সব দলের লোক আমাকে ভোট দিয়েছে কারণ, আমি কেমন মানুষ এ এলাকার প্রতিটি মানুষ জানে। এত কারচুপি না হলে ভোটের ব্যবধান ৭০-৮০ হাজার হত।

তিনি বলেন, মুজিব কোর্ট গায়ে দিয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলেই এমপি হয়েছি, আজীবন তাই থাকব।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: