আলু মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা

প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:৪৭ পিএম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)'র আওতায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরাধীন রোপনকৃত আলু ক্ষেত নিয়মিত পরিদর্শন করছেন জেলা-উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা। দিনমান আলু মাঠে সময় দিচ্ছেন তাঁরা। কৃষকদের পরামর্শদানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন স্তরের কৃষি কর্মকর্তাগন।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সারাদিন শেরপুর জোনের বীজ আলুর বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শনে আলু মাঠে দিন কাটান শেরপুর খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিন, বিএডিসি নকলা হিমাগারের উপ-পরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস, বিএডিসি'র উপ-সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ। এসময় তাদের সাথে ছিলেন, বিএডিসি আলু চাষী কামরুজ্জামান গেন্দুসহ বেশ কয়েকজন আলু চাষী।

এর আগে বিএডিসি ঢাকা'র যুগ্মপরিচালক (মান নিয়ন্ত্রণ) কৃষিবিদ সুভাশ চন্দ্র ঘোষসহ পরিচালক, উপ-পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাগন উপজেলার বিভিন্ন আলু মাঠ পরিদর্শন করেছেন।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৫ টি ব্লকে প্রায় অর্ধশত আলু চাষীকে নির্বাচন করে ৩০০ একর জমিতে দুইশতাধিক মেট্রিকটন বিএডিসি’র আলু বীজ লাগানো হয়েছে। কৃষকদের ক্ষেতের আলু ইতোমধ্যে গজিয়ে মাটির উপরে উঠে এসেছে। অনেক ক্ষেতের আলু গাছে আলু ধরতে শুরু করেছে৷

এবছর প্রতি একরে ৬ মেট্রিকটন করে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। তাতে করে নকলা উপজেলায় মোট একহাজার ৮০০ মেট্রিকটন বিএডিসি'র আলু উৎপাদনের আশা করেছেন নকলা উপজেলায় কর্মরত বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। তথ্যমতে, গত বছর(২০১৭ সালে) উপজেলায় ৩০০ একর জমিতে বিএডিসি’র আলু চাষে উৎপাদন ছিল একহাজার ৬৫০ মেট্রিকটন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক পরিবেশ আলু চাষের অনুকূলে থাকায় গত বছরের চেয়ে চলতি বছর আলুর আবাদ বেড়েছে৷ কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন না হলে, চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন হবে।

উপ-পরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিএডিসি'র আওতায় কৃষকের উৎপাদিত আলু গ্রেডিং করার পর ন্যায্য মূল্যে কিনে নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছিলেন বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। এ বছর হিমাগারে সংরক্ষিত ওই আলুবীজ সরকারের নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়। তাতে ভালোমানের আলুবীজ কিনা এবং তাদের উৎপাদিত আলু সরকারের কাছে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করায় দুই দিকেই লাভবান হচ্ছেন আলু চাষিরা। 

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: