বাসা থেকে শেষ বিদায় সৈয়দ আশরাফের

প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:১০ পিএম

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাজধানীর বেইলি রোডস্থ তার সরকারি বাসভবন থেকে নিথর দেহে চির বিদায় নিয়েছেন। শনিবার (৫ জানুয়ারি) রাত পৌনে নয়টা দিকে তার মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে যায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স। এর মধ্য দিয়ে এই বাসভবন থেকে চিরবিদায় হলো এই রাজনৈতিকের।

তার মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) রাখা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার কিছুক্ষণ পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আশরাফুল ইসলামের মরদেহ নিয়ে অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাসভবনে আনা হয়।

&dquote;&dquote;

২১, বেইলি রোডে দেখা যায়, সন্ধ্যা থেকে প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে আত্মীয়-স্বজন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাধারণ মানুষ বেইলি রোডে অবস্থান নেন। মরদেহ আসার পর কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অনেকের হাতে ছিল ফুল।

রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের জানাজা হবে। পরে হেলিকপ্টারে করে মরদেহ নেওয়া হবে সৈয়দ আশরাফের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে; দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে জানাজা হবে।

এরপর দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে জানাজার পর আশরাফের মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। বাদ আছর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

&dquote;&dquote;

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর সৈয়দ আশরাফের স্ত্রী শীলা ইসলাম মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। এই দম্পতির একটি মেয়ে রয়েছে।

অসুস্থতার কারণে সৈয়দ আশরাফ গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। এ অবস্থাতেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি।


বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: