সখীপুর-বাটাজোর সড়কে ঝঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রীজ

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:০০ এএম

টাঙ্গাইলের সখীপুরে কীর্ত্তনখোলা ধুমখালী এলাকায় বেইলী ব্রীজের পাটাতন ভেঙ্গে গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রায় সব ধরণের যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। সখীপুর-বাটাজোর সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও মালবাহী গাড়ী চলাচল করে।

সখীপুর থেকে ময়মনসিংহ ও ঢাকা যাতায়াতের জন্য এ সড়কটি ব্যবহৃত হয়। কীর্ত্তনখোলা বাজারের পশ্চিম পাশে বেইলি ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় মালবাহী গাড়ী ও হাজার হাজার যাত্রীদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর থেকে বেইলি ব্রীজটি মেরামত করা হলেও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে দুই তিন মাস চলাচল করতে পারলেও বেইলি ব্রীজটির পাটাতন ভেঙ্গে যানবাহন চালাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। অনুপযোগী হওয়ার পরও ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করেছে। ফলে যেকোন মূহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

ওই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রায় ২০/২৫ বছর আগে বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ হয়। গত ২/৩ বছর ধরে ব্রিজটির অবস্থা খুবই খারাপ, এটি বছরে কয়েক বার মেরামতও করা হয়। অতি দ্রুত বেইলী ব্রিজের মেরামত বা এর পরিবর্তে পাকা ব্রিজ নির্মাণ না করলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী বেইলি ব্রীজটি সংস্কার না করে স্থায়ী ব্রীজ নির্মান করলে বেইলি ব্রীজের পাটাতন ভাঙ্গার সমস্যা থাকবে না। সখীপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী, মধুপুর এলাকায় প্রতি বছর উৎপাদিত মৌসুমী শাক-সবজি, আম, কাঁঠাল, কলা, আনারস সহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি এ সড়কে পরিবহন করা হয় এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে এ সড়কটি ব্যবহার করে ঢাকাসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে।

এ বিষয়ে সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুস বলেন, ২৯ মিটার বেইলি ব্রীজটি মেরামতেরে জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আপাতত মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: