আঙ্গুলের পচন বেড়েই চলছে, বাঁচতে চায় হতদরিদ্র মিন্টু

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০২:২৪ পিএম

হতদরিদ্র মিন্টু সর্দ্দার (২৮)। আশঙ্কা মধ্যদিয়ে জীবনযাপন করছেন তিনি। আসল ঘটনাটি খুলে বলা যাক, কেন আজ তার এই পরিণতি। তা হলো- প্রথমে ডান পাঁয়ের একটি আঙ্গুলে ছোট্ট একটি ফোট, তারপর পচন শুরু। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দ্রুত আঙ্গুলটি কেটে ফেলতে হবে। এর জন্য ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। সামান্য এই টাকা জোগাড় করতে না পেরে পচন ধরা আঙ্গুলটি কাটতে পারছেন না হতদরিদ্র মিন্টু সর্দ্দার। আর কাটতে না পারার কারণে আঙ্গুলের পচন আস্তে আস্তে পায়ের দিকে এগিয়ে আসছে। মিন্টু সর্দ্দারের আশঙ্কা একটি সময় হয়তো তার গোটা পা কেটে ফেলতে হবে।

মিন্টু সর্দ্দার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মহেশ্বরচাঁদা গ্রামের কোরবান আলী সর্দ্দারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন হোটেল শ্রমিক। তার বাবা অসুস্থ হওয়ায় মা রহিমা খাতুন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান।

রহিমা খাতুন জানান, তাদের কোনো জায়গা জমি নেই। মাত্র ৪ শতক জমির উপর টিনের ছাপড়া করে বসবাস করেন। ছেলে মিন্টু সর্দ্দার একটি হোটেলে শ্রমিকের কাজ করে। তাকে বিয়েও দিয়েছেন রহিমা। বর্তমানে মুন্ন ও মুন্নি নামে তার দুইটি সন্তান রয়েছে।

রহিমা খাতুন জানান, অত্যন্ত কষ্ট করে চলে তাদের সংসার। ছেলের সঙ্গে তিনিও অন্যের বাড়িতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। তাদের দু’জনের আয়ে কোনো রকমে সংসার চলে। এই অবস্থায় চার মাস হলো ছেলের ডান পায়ের একটি আঙ্গুলে একটি ফোট দেখা দেয়। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে সেখানে পচন ধরে যায়। তিনি ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকেরা দেখে দ্রুত আঙ্গুলটি কেটে ফেলার জন্য বলেন। এ জন্য ২৫ হাজারের মতো টাকা খরচ হবে বলে জানায়।

রহিমা খাতুন জানান, একসঙ্গে এতোগুলো টাকা জোগাড় করতে পারেননি। তাই ছেলেকে নিয়ে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে গেছেন। কখনও কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসার চেষ্টা করেছেন। এতে তার প্রায় ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, অনেক চেষ্টা করেও ২৫ হাজার টাকা জোগাড় করতে পারছেন না। তাই তার ছেলের পায়ের আঙ্গুল কাটতে পারছেন না।

মিন্টু সর্দ্দার জানান, পচন ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। আঙ্গুল থেকে পায়ের পাতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সারাক্ষণ যন্ত্রণা করে তার পায়ে। তার আশঙ্কা গোটা পা কেটে ফেলতে না হয়।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুস সাত্তার জানান, এ জাতীয় রোগীর পায়ের আঙ্গুল সরকারি হাসপাতালে কাটা সম্ভব। সেক্ষেত্রে ওষুধপত্র মিলিয়ে ১০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। আর বেসরকারি হাসপাতালে খরচ হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, এ জাতীয় রোগীর দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্রমেই খারাপের দিকে চলে যায়। 

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: