বাংলাদেশে ঢুকে হামলা, যা বললো বিএসএফ

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:০৫ পিএম

এক বাংলাদেশির বাড়িতে হামলা চালায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) দুই সদস্য। পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে একটি শর্টগান ফেলে পালিয়ে যান তারা। এতে করে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

সবশেষ গতকালের ঘটনার পর আজ শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও ওয়াকিটকি ফেরত নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরোলাইনে বসা ব্যাটালিয়ন পর্যয়ের পতাকা বৈঠক করে দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ।

এর আগে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে ছিলেন তারা।

সে সময় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছিলেন রংপুর-৬১ বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়নের মুংলিবাড়ী সীমান্তে ৮৪১ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাব-পিলারের কাছাকাছি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে বিএসএফ’র ওই সদস্যদের নাম জানাননি তিনি।

শনিবার পতাকা বৈঠকে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৬১ বিজিবি ব্যালিয়নের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল শরিফুল ইসলাম শরীফ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির কোচবিহার ১৪৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার বানাম্বার শাউ।

বৈঠক শেষে লেফটেনেন্ট কর্নেল শরিফুল ইসলাম শরীফ জানান, শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে পাটগ্রামের মুংলিবাড়ি সীমান্তের মেইন ৮৪১ পিলারের সাব ৬ নম্বর পিলার এলাকায় চোরাকারবারীদের ধাওয়া করতে দুই বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে বলে পতাকা বৈঠকে বিএসএফ দাবি করেছে।

তিনি বলেন, এ সংকট নিরসনে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাটালিয়ন পর্যয়ে পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। যার প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো লাইনে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে পতাকা বৈঠকে বিজিবি’র কাছে দুঃখ প্রকাশ করে আগামী দিনে পুনরাবৃত্তি না করার প্রতিশ্রুতি দেন বিএসএফ। পরে বিএসএফ সদস্যের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও ওয়াকিটকি হস্তান্তর করে বিজিবি।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: