জঙ্গি দমন করতে পারলে প্রশ্নফাঁস বন্ধ কেন নয়?

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:৫২ পিএম

সদ্য দায়িত্ব নেওয়া শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দিপু মনি বলেছেন, আমরা জঙ্গি দমন করতে পেরেছি। মাদক দমনেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাই প্রশ্ন ফাঁসও আমরা ঠেকাতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

রোববার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন আগামী এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষা অনুষ্ঠানে বেশকিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। এর মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠাতে বিশেষ ধরনের খাম ব্যবহার করা হবে। যেটা দেখে বোঝা যাবে খামটি এর আগে কখনোই খোলা হয়নি।

তিনি বলেন, পরিক্ষার হলের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। গুজব রটনাকারীদের সনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে নজরদারি শুরু হয়ে গেছে। যারা আগেও এ কাজ করেছে বা প্রশ্নফাঁসে যুক্ত ছিল তাদের ব্যপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, এবিষয়ে সচেতনতামূলক তথ্যগুলো গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। পরিক্ষা সংশ্লিষ্টরা ছাড়া কেউ পরিক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধুমাত্র কেন্দ্র সচিব বাটন ফোন ব্যবহার করতে পারেবে।

দিপু মনি বলেন, এমনকি পরিক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে আমি অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্র্রী ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।
ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা না করে কোথায় প্রশ্নপত্র ফাস হচ্ছে তা কেউ জানার চেষ্টা করবে না। আমরা ছাত্র-ছাত্রী অভিববাকদের কাছে এই আশা করি।

তিনি বলেন, পরিক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অব্যশই পরিক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। যদি একান্ত কারও দেরি হয় তাহলে তা কেন্দ্র প্রধানের রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে তা বোর্ডে পাঠাতে হবে। ২০১৮ সালে যেভাবে আমরা সফল হয়েছি সেই একইভাবে এবারও ইনশাল্লাহ আমরা সফল হবো। সকলের সহযোগিতা কামন করাছি।

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আসে কোচিং সেন্টারগুরো এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোচিং সেন্টার পরিক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

সিন্ডিকেট ভিত্তিক কেন্দ্র দেওয়া হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু গতবছর এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে ভাল পরিক্ষা হয়েছে। ফলে এটা আমরা ঢাকা বোর্ডের দৃষ্টি আকর্শন করছি। যেহেতু পরিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব দায়িত্ব পালন করে বোর্ড, ফলে এ বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়ের উপর বর্তায় না। এটা বোর্ডকে দেখার অনুরোধ করবো।

ফেসবুক কেন্দ্রীক নানা গুজব তৈরি হয় তাই বিটিআরসির প্রতি আপনাদের কোন নির্দেশনা আছে কিনা এমন প্র্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সেল এই পরিক্ষার ক্ষেত্রে তারা দায়িত্ব পালন করবে।

প্রশ্ন ফাসের ঘটনায় আগে কোন তদন্ত হয়নি এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এই তথ্যটি আমার কাছে নেই। আমি জানলে তা জানাবো।

আগামী ২ ফেব্রুয়ারী পরিক্ষা শুরু হবে বলে কথা রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এসআর/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: