অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর সঙ্গে শ্বশুরের এ কেমন বর্বরতা!

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০১:৪৮ পিএম

সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সংসারের খরচ বেড়ে যাবে। তাই ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে।

ভারতের নরেন্দ্রপুরের দাসপাড়া এলাকায় বর্বর, নৃশংস এ ঘটনাটি ঘটেছে।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতিতার নাম অঞ্জু গায়েন। অঞ্জুর বাড়ির সল্টলেকের ডিডি ব্লকে। ২০১৬ সালে নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা অপূর্ব গায়েনের সঙ্গে বিয়ে হয় অঞ্জুর। পরে গত অক্টোবর মাসে অন্তঃসত্ত্বা হন গৃহবধূ অঞ্জু গায়েন।

অভিযোগ রয়েছে, অঞ্জুর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে তার উপর অত্যাচার চলতে থাকে। কেননা, তার সন্তান হলে সংসারের খরচ আরও বেড়ে যাবে, ওই অজুহাতে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য রীতিমত চাপ দিতে গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি।

কিন্তু, অঞ্জু তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকতে বলা হয়। এ অবস্থার মধ্যেই একদিন সংসারে অশান্তি হলে তার পেটে স্ব-জোরে লাথি মারেন শ্বশুর অশোক গায়েন। এ সময় শাশুড়ি প্রতিমা গায়েনও মারধোর করেন বলে অভিযোগ করেন গৃহবধূ অঞ্জু।

একপর্যায়ে গৃহবধূর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর তাকে প্রথমে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ও পরে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা যায়, বর্তমানে সুস্থ আছেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু, তিনি তার গর্ভের সন্তান হারিয়েছেন।

এ ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অঞ্জু গায়েন। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: