প্রেম, পালিয়ে বিয়ে, অতঃপর...

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:০৩ পিএম

প্রেমের পর পালিয়ে বিয়ে করছিল জুঁই ও জনি। তারা চিরজীবন একসাথে থাকবে বলেও প্রতিজ্ঞা করেছিলো। কিন্তু সবশেষ করুণ পরিণতির স্বীকার হতে হলো জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে (১৭)। তাকে বিয়ের তিন মাসের পরে যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই সজিব মিয়া জানান, তিনি মামলার তদন্ত কাজে কোন গড়িমসি করছেন না। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন সাপেক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

জানা যায়, মালেশিয়া প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা জুঁই’র সাথে ২০১৮ সালের মে মাসে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী সুন্দরগঞ্জ থানার ফলগাছা গ্রামের ছামিউল ইসলামের ছেলে মাসায়েক রানা জনির।

বিয়ের পর থেকে মাসায়েক রানা জনি তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের নীম বাগান গ্রামের জনৈক মালেক মিয়ার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। ওই বাসায় থাকার সময় মাসায়েক রানা জনি ও তার পরিবারের লোকজন জাকিয়া সুলতানা জুঁই’র কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা যৌতুক দাবি করে এবং দাবিকৃত যৌতুকের অর্থ তার বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বলে।

যৌতুক দাবির বিরোধিতা করলে গত ০৯ জুন/১৮ তারিখে মাসায়েক রানা জনি ও তার পিতা ছামিউল ইসলাম, ফুফু হাছিনা বেগম ও জ্যাঠা শামসুল আলম শারীরিক নির্যাতন শেষে শ্বাসরোধ করে জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে হত্যা করে। পরে তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মৃতের লাশ শয়ন ঘরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে।

নিহতের চাচা রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কাবিলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য তাহমিদুর রহমান অভিযোগ করেন, সুলতানা জুঁই এর স্বামী জনিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হলেও অপর আসামী হাসিনা আক্তারকে (৩২) গ্রেফতার করছেন না পুলিশ।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: