চাচার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, গর্ভপাত করাল মেয়ে-জামাই

প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৫ এএম

বাবা প্রতিবন্ধী। দুটি মেয়েও প্রতিবন্ধী। একটি মেয়ে সুস্থ থাকলেও তার স্বামীর দুই চোখ অন্ধ। সাতক্ষীরার এমন একটি পরিবারের এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী চাচা পরিচয়ের ৫৭ বছর বয়সের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের হাওয়ালখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ প্রতিবন্ধী তরুণী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম আকরাম আলী (৫৭)। সে ওই গ্রামের ফকির সরদারের ছেলে।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর পালিয়েছে অভিযুক্ত চাচা আকরাম আলী (৫৬), স্ত্রী মাসকুরা বেগম, মেয়ে ফেরদৌসী ও জামাই রেজাউল ইসলাম।

ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণীর মা বলেন, সবার অজান্তে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে টানা ছয় মাস ধরে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী আকরাম আলী।

এরই মধ্যে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ধর্ষক আকরাম আলী ঘটনাটি তার স্ত্রী মাসকুরাকে জানায়। পরে তারা অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটিকে নিয়ে কলারোয়া থানার সিংহলাল গ্রামে মেয়ে ফেরদৌসীর বাড়িতে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়।

সেখানে তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই রেজাউল ইসলাম সহযোগিতা করে। এরপর মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে এক সপ্তাহ আগে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর আমরা ঘটনা জানতে পারি। আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বর্তমানে আসামিরা পলাতক। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: