এবার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন মিতু

প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪৫ পিএম

দীর্ঘ নয় বছর প্রেম। প্রচণ্ড ভালোবাসতেন প্রেমিকাকে। বিয়ের কয়েকদিন আগে জানতে পারেন বিভিন্ন ছেলের সাথে হোটেলে রাত কাটায় তার প্রেমিকা। এরপরেও সব ভুলে বিয়ে করে শুরু করে সংসার। এর কিছুদিন পরে আবার জানতে পারে নতুন কিছু পরকীয়া প্রমিকদের সাথে রাত কাটাচ্ছে তার স্ত্রী। এতকিছু সহ্য না করতে পেরে অবশেষে নিজের জীবন দিয়ে দিলেন।

বলছিলাম চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকার মোস্তফা মোরশেদ প্রকাশ আকাশের কথা। পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। গত বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) ভোর ৫ টার দিক চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ২ নম্বর রোডের ২০ নম্বরের নিজ বাসায় শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন তিনি।

এরপর বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের নন্দনকানন এলাকা থেকে আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর মিতুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিতুকে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে চান্দগাঁও থানায় আনা হয়।

সেখানে বিয়ের পরও একাধিক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলে স্বীকার করেছেন আত্মহত্যা করা ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর।

এদিকে আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মিতু বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। পুলিশের তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে মিতু অন্য পুরুষের সাথে বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্কসহ নানান তথ্য দিয়েছেন। মিতুর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করছে পুলিশ।

নগরীর চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বশর বলেন, মিতু এ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। মিতুর দেয়া তথ্যগুলো যাছাই বাছাই হচ্ছে। তিন দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় শনিবার আদালতে তোলা হবে তাকে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, তিন দিনের রিমান্ড প্রথম দুই দিন মুখই খুলেননি মিতু। উল্টো আকাশের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলেন। জিজ্ঞাসাবাদে অন্যের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করলেও অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। শেষ দিন মুখ খুলেন মিতু। তিনি বিবাহ বর্হিভূত নানান সম্পর্কের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি স্ত্রী মিতুর বিরুদ্ধে পরকীয়তার অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক আকাশ। এরপর আকাশের মা আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ মিতুসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিতু’র মা মোছাম্মৎ শামীম শেলী, বাবা মোহাম্মদ আনিছুল হক চৌধুরী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা (২১), ড. মাহবুবুল আলম (২৮) এবং প্যাটেলকে আসামি করা হয়।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: