সুইপার থেকে কোটিপতি!
ফেনী পৌরসভায় কাজ করেন সুইপার হানিফ। কিন্তু এই নামের সামনে সুইপার শব্দটা থাকলেও এর বাহিরে তার একটি পরিচয় আছে তা হল কোটিপতি! বারাহিপুর এলাকায় রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি, পৌর এলাকায় তার নামে সম্পত্তিও রয়েছে। কে এই সুইপার সাইফুল তার সম্পদের উৎস ক্ষতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফেনী পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে সুইপারের কাজ করেন হানিফ। দৈনিক ভাতা পান ১শ টাকা। পৌরসভায় কাজ করার সুবাদে জড়িয়ে পড়েন মাদক কারবারে। অফিস সংলগ্ন নির্মাণাধীন শ্যাম নাহার গার্ডেনের পেছনে শুরু করেন মাদক ব্যবসা।
তবে কি শুধু এখানেই শেষ? তার পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টারের বাসায়ও চলে মাদক কেনাবেচা। বিভিন্ন সময় তাকে ধরতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের মাদক বিরোধী টাস্কফোর্সের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত, পুলিশ এমনকি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হন হানিফ। পরে কিছুদিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে ফের মাদক কারবারে জড়িয়ে যান ফেনী শহরতলীর পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের নগরকান্দি গ্রামের এ বাসিন্দা।
মাদক কেনাবেচার করে পৌরসভার বারাহিপুর এলাকার রেললাইন সংলগ্ন বঙ্গবীর ওসমানী সড়কে মো. নুর আলম ওরফে আলম বাবুর্চি থেকে ৫ শতক জমিসহ দ্বিতল ভবনের বাড়ি কিনেন তিনি। ৭০ লাখ টাকা মূল্যে কেনা ৬৫/০২ হোল্ডিংয়ের ওই বাড়িটিতে ৪ পরিবার ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়া রেল লাইনের পাশে আনসার সফি থেকে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ৪ শতক জায়গা কিনেন হানিফ।
এদিকে বাড়ির ভাড়াটে নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, গত প্রায় ১ বছর ধরে তিনি এ বাসায় সপরিবারে বসবাস করছেন। মাসিক হারে হানিফকে ভাড়া দেন ৫ হাজার টাকা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক অমর্ত্য সেন গণমাধ্যমকে জানান, সুইপার হানিফ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তাকে ধরতে বিভিন্ন সময় বারাহিপুর রেল লাইনের পাশে কেনা বাড়িটিতেও অভিযান চালানো হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ মার্চ পুলিশ কোয়ার্টার আল-কেমী হাসপাতাল সংলগ্ন রহিমা ম্যানশনের ভাড়া বাসা থেকে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর দুই মাস পর ৩০ মে শ্যাম নাহার গার্ডেনের পেছনে তার আস্তানা থেকে ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।
দুদক নোয়াখালী অঞ্চলের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে হানিফের কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। হানিফের সম্পদের খোঁজে দুদক আরো অনুসন্ধান চালাচ্ছে। তদন্ত কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। উপ-সহকারি পরিচালক আলতাফ হোসেন তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি অন্যত্র বদলী হওয়ায় নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
স্থানীয় পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম গীটার গণমাধ্যমকে জানান, হানিফ মাষ্টার রোলে সুইপারের কাজ করতো। মাদকসহ ভ্রাম্যমান আদালতে গ্রেফতারের পর তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সুইপার হানিফ বলেন, ‘দুদকের তদন্তের বিষয়টি আমার জানা নাই। গ্রামের বাড়িতে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে পৌর এলাকায় বাড়ি ও জায়গা কিনেছেন বলে দাবী করেন তিনি।
বিডি২৪লাইভ/এসএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: