কাশ্মীরে ফের মেজর নিহত

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:২১ পিএম

কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় বিশেষায়িত বাহিনী সিআরপিএফের গাড়িবহরে জঙ্গি হামলার ৪৮ ঘণ্টা পর শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখার (লাইন অব কন্ট্রোল) নওশেরা সেক্টরে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর এক মেজর নিহত হয়েছেন। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কর্পসের হয়ে কাজ করছিলেন।

ভারতীয় সেনাবাহিনী মনে করছে, পাকিস্তান থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা নিয়ন্ত্রণ রেখার দেড় কিলোমিটার ভেতরে এই আইইডি পুঁতে রেখেছিল। এতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সীমান্তে নিয়োজিত দল জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছে ভারতীয় বাহিনী।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপুর এলাকার গোরিপুরে বিশেষায়িত সশস্ত্র বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) বহর লক্ষ্য করে আইইডি বিস্ফোরণে ৪৬ জওয়ান নিহত হন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহম্মদ।

ওই হামলার ঘটনাটির জেরে ভারত-পাকিস্তান বাকযুদ্ধ তুঙ্গে পৌঁছেছে। দু’পক্ষই পরস্পরের কূটনীতিককে তলব করেছে। ভারত এই হামলায় পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে প্রতিবাদ জানালে ইসলামাবাদ তা প্রত্যাখ্যান করে উল্টো প্রতিবাদ জানায়।

এছাড়া কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে স্বপ্ন দেখেছেন তা কখনই পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামাবাদ। একই সঙ্গে এ হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসাজশ আছে বলে নয়াদিল্লির দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, পাকিস্তানকে নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার স্বপ্ন কখনই পূরণ হবে না।

মেহমুদ কুরেশি বলেন, আমরা এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার নিন্দা জানাই। পাকিস্তান কখনই সহিংসতার পক্ষে নয়, সেটি আজ অথবা গতকাল হোক না কেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানের ভূখণ্ড সন্ত্রাসীদের ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয় না। দোষারোপের খেলায় কেউ কখনো কোনো কিছু অর্জন করতে পারে না।

তিনি বলেন, তদন্ত ছাড়াই দোষারোপের সংস্কৃতি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত ভারতের। পুলওয়ামা হামলা থেকে পাকিস্তানের লাভবান হওয়ার কিছু নেই। আর এ ঘটনা সম্পর্কে বিশ্ব অবগত আছে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: