কোন ধর্ম নেই স্নেহার, পেয়েছেন স্বীকৃতিও

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:০৮ পিএম

তথাকথিত ধর্ম ও জাতি বিষয়ে কোনদিনই বিশ্বাস ছিল না তামিলনাড়ুর তিরুপাত্তুরের বাসিন্দা স্নেহা পার্থিবরাজার। জাতি-ধর্মের ভেদভেদহীন মানব সমাজের স্বপ্ন দেখেন তিনি।

সেই মতো ২০১০ সালে নিজেকে ‘জাতি-ধর্মহীন’ ঘোষণা করার আবেদন করেছিলেন সরকারের কাছে। দীর্ঘ ন’বছর লড়াইয়ের পর নিজের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।

স্নেহার বয়স এখন পঁয়ত্রিশ। তিনি পেশায় আইনজীবী।

সম্প্রতি তিরুপাত্তুরের তহশিলদার টি এস সাথিয়ামুর্তি স্নেহার হাতে তুলে দিলেন সরকারি প্রশংসাপত্র। সেখানে লেখা, ‘তিনি কোনও জাতি বা ধর্মের অন্তর্গত নন।’

তিনিই ভারতবর্ষের প্রথম নাগরিক যিনি এই ধরনের কোনও প্রশংসাপত্র পেলেন।

&dquote;&dquote;
এই পত্র পাওয়ার পর স্নেহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাতপাতে বিশ্বাসীরা যদি সরকার থেকে প্রশংসাপত্র পেয়ে থাকেন, তাহলে আমরা যাঁরা জাতি ধর্মে বিশ্বাসী নই তাঁরা কেন পাব না?’

স্নেহাকে প্রশংসাপত্র দেওয়া নিয়ে তিরুপাত্তুরের সাব-কালেক্টর বি প্রিয়ঙ্কা পঙ্কজাম বলেছেন, ‘আমরা তাঁর স্কুল কলেজের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেছি। সেই সব নথিতে কাস্ট ও রিলিজিয়ন এই দু’টি কলাম সর্বত্র ফাঁকা ছিল। তাই আমরা তাঁর দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছি। যদিও এর জন্য অন্য নাগরিকদের কোনও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না।’

এই লড়াইয়ে স্নেহা পাশে পেয়েছেন তাঁর স্বামী তথা লেখক কে পার্থিবরাজাকে। নিজেদের এই পরম্পরা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে নিজেদের তিন মেয়ের স্কুলের ফর্মে কোনও রকমের জাতি বা ধর্মের উল্লেখ করেন না তাঁরা। নিজের এই বিশ্বাসকে সম্বল করেই ধর্ম-জাতির বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন স্নেহা।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: