উপজেলা বিধিমালায় আসছে পরিবর্তন

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১২ এএম

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন ধাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে এ বিষয়ে রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপে ১৩টি উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ঠরা।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিমালা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আইন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ইসিতে পাঠানো হয়েছে। ইসি পুনরায় যাচাই-বাচাই শেষে বিধিমালাটি অনুমোদন দিলে তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে।

শনিবার এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিমালাটি আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে ইসিতে পাঠানো হয়েছে। রোববার পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন ধাপে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে।

ইসি সচিব বলেন, আশা করছি, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩টি জেলার সদর উপজেলায় ইভিএম মিশন ব্যবহার করা যাবে। তবে, বিষয়টি কমিশন চূড়ান্ত করবে।

সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সব সদর উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার করার জন্য কমিশন আগেই সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ইভিএম ব্যবহারের বিধিমালাটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি না হওয়ায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে না। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য কমিশন সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামী ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের ১২৯টি উপজেলার মধ্যে ১৩টি জেলার সদর উপজেলায় প্রথমবারের মতো ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় ধাপ থেকে পর্যায়ক্রমে তৃতীয় ধাপ, চতুর্থ ধাপ ও পঞ্চম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সব সদর উপজেলায় ইভিএম মেশিন ব্যবহার করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে যেসব জেলার সদর উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার করা হতে পরে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, গাইবান্ধা সদর, দিনাজপুর সদর, বগুড়া সদর, নওগাঁ সদর, পাবনা সদর, সিলেট সদর, মৌলভীবাজার সদর, গোপালগঞ্জ সদর, ফরিদপুর সদর, রাঙামাটি সদর, বান্দরবান সদর, খাগড়াছড়ি সদর।

এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট ১০। প্রথম ধাপের নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ১১ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ছিল ১২ ফেব্রুয়ারি ও প্রত্যাহার ১৯ ফেব্রুয়ারি।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৮ মার্চ ১২৯ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ ফেব্রুয়রি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। ২০ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। বাছাইয়ে বৈধ ঘোষিত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় ধাপে পাঁচ বিভাগের ১৭টি জেলার ১২৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সবশেষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৪ মার্চ সাত বিভাগের ২৫ জেলার ১২৭টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৫শে ফেব্রুয়ারি। দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া আগামী ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে ১৮ জুন পঞ্চম ধাপে উপজেলা নির্বাচন।

জানা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৯২টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮০ টিতে এবার ভোট হবে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে ১২টি উপজেলায় এবছর ভোট হবে না। সর্বশেষ ২০১৪ সালের মার্চ-মে মাসে ছয় ধাপে এর অধিকাংশগুলোতে ভোট হয়েছিল। আইনে মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় এই নির্বাচন করতে হচ্ছে।

১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে ছয় ধাপে ভোট করেছিল তৎকালীন ইসি।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: