দুই হাজার যাত্রী নিয়ে মেঘনার চরে লঞ্চ আটকা

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০৪ এএম

চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বোগদাদীয়া-৯ লঞ্চ প্রায় ২ হাজার যাত্রী নিয়ে একটি চরে আটকা পড়েছে। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর আধা ঘণ্টা গেলে পথে চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর মেঘনার চরে অজ্ঞাত কারণে আটকে যায় লঞ্চটি।

খবর পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিকল্প ইমাম হাসান-৫ নামের আরেকটি লঞ্চ তাদের উদ্ধারে চাঁদপুর থেকে রওয়ানা হয়।

লঞ্চের সুপার ভাইজার আলী আজগর জানান, ওই লঞ্চে দুইজন চালক রয়েছেন। একজনের সমস্যা হলে আরেকজন লঞ্চটি চালানোর কথা। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটেছে তা লঞ্চে গিয়েই জানা যাবে।

চাঁদপুর বিআইডাব্লিউটিএ’র পরিদর্শক মাহতাব উদ্দিন জানান, আমরা বিষয়টি জানার পর যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানোর জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিকল্প আরেকটি লঞ্চের ব্যবস্থা করেছি।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান জানান, আমরা বিষয়টি জেনেছি। এ ব্যাপারে কারো কোনো ত্রুটি থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চাঁদপুর নৌ টার্মিনাল ওসি রেজাউল করিম বিষয়টি জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু এর আধা ঘণ্টা পর পথে চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর মেঘনার চরে অজ্ঞাত কারণে লঞ্চটি আটকে যায়।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে রাত সোয়া ৯টায় চাঁদপুর থেকে বিকল্প ইমাম হাসান ৫ নামে আরেকটি লঞ্চ পাঠানো হয়েছে।

আটকা পড়া লঞ্চের যাত্রী সাইফুল ইসলাম মোবাইলে জানান, লঞ্চটি মোশারফ হোসেন নামে ১৫/১৬ বছরের একটি অদক্ষ চালক দিয়ে চালানোর কারণে রাত প্রায় ৮টা দিকে একটি চরে আটকে যায়। এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে যাত্রীরা লঞ্চটি থামাতে বললেও লঞ্চের চালক থামাতে পারেনি। পরে একটি চরে উঠিয়ে দেয়া হয়। লঞ্চের প্রকৃত চালক না থাকায় এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: