ভেড়া পালনে সফল মধুমতি

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:২০ পিএম

দেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে উন্নীত করতে যুবসম্প্রদায়কে কর্মমুখী ও সজাগ হয়ে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য ও নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভেড়ার উন্নত জাত গাড়ল পালন শুরু করেন মাসুদ রানা। শুরুটা ছিল ৪০টি গাড়ল নিয়ে। তবে বছর গড়াতে-না গড়াতেই বৃদ্ধি হয়েছে পাঁচগুণ। সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুইশতেরও অধিক। 

এমনই সফলতা অর্জন করেছেন ‘মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ রানা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের শিবনারায়নপুর গ্রামে ‘এ্যানিমাল নার্চার প্লান’ নামে গড়ে উঠেছে মধুমতির প্রকল্প। মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উৎপাদন সৃষ্টি প্রকল্পের আওতায় জেলায় একমাত্র তিনিই প্রথম গাড়ল পালন শুরু করেন। 

২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট মেহেরপুর জেলার তারানগর এলাকা থেকে ভেড়ার উন্নত প্রজাতি ৪০টি গাড়ল নিয়ে আসেন তিনি। মাত্র একবছরের মধ্যে গাড়লের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই'শটিরও অধিক। অল্প সময় লাভজনক ব্যবসার গল্প ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলাজুড়ে। গাড়ল পালনে সফলতার পিছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও তাদের উন্নত বাসস্থান। 

যেমন- খামারে মাটি থেকে ৩ ফুট উঁচুতে মাচান করে স্বাস্থ্যসম্মত পরিস্কার জায়গাতে রাখা হয় গাড়লদের৷ প্রসব কিংবা মল ত্যাগ করলে সেটা যাতে জমে না থাকে সেজন্যেও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। গর্ভবতী গাড়লগুলোকে আলাদা স্থানে রেখে বিশেষ পরিচর্যার ব্যবস্থাও রেখেছেন প্রতিষ্ঠানটি।     

মাঠে চরাইয়ের জন্য গাড়লদের জন্য রয়েছে চারুনভূমি। বর্ষার দিনে যাতে তাদের খাওয়া ও থাকার অসুবিধা না হয়, সেজন্য মাটি থেকে প্রায় ৩ ফুট উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছে মাচান৷ মাচানটিতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস যাতায়াতের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত গরমের জন্য রাখা হয়েছে বড় মাপের কয়েকটি ফ্যান।

খামারটিতে মিঠন ও বিয়েল নামের দুইজন কর্মচারী নিবিড় পরিচর্যা করে আসছেন। কিছুদিন পরপর পশুচিকিৎসকের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা, ঔষধ ও স্বাস্থ পরিক্ষা করা হয়। 

গাড়ল পালনের মূল উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ রানা বলেন, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষে আমরা কাজ করে আসছি৷ অবশ্যই গাড়ল পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। অল্প পুঁজি খাটিয়ে খামার তৈরি করে যে কেউ পরিচালনা করতে পারবে এ ব্যবসাটি। আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গাড়ল পালনে সফলতা অর্জন করা সবার পক্ষে সম্ভব।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: