প্রশাসনের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন আন্দোলনকারীরা
ডাকসু পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে তারা প্রশাসনের কাছ থেকে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস পান।
এর আগে দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে অনশন স্থগিত রাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের পাঁচ শিক্ষার্থী।
স্বতন্ত্র প্যানেল রোকেয়া পরিষদ থেকে হল সংসদের ভিপি প্রার্থী মৌসুমী বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ১০টার দিকে আন্দোলনকারীদের অনশন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে পুনরায় অনশনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
হল সংসদের পুনর্নির্বাচন ও প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে বুধবার রাত থেকে অনশন চালিয়ে আসছিলেন পাঁচজন।
এরা হলেন ইসলামিক স্টাডিজের রাফিয়া সুলতানা, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সায়েদা আফরিন, একই বিভাগের জয়ন্তী রেজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শ্রবণা শফিক দীপ্তি ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রমী খীসা।
তাদের মধ্যে রাফিয়া রোকেয়া হল সংসদে ভিপি পদে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী ছিলেন। দীপ্তি স্বতন্ত্র জোট থেকে ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। ছাত্র ফেডারেশনের সায়েদা হল সংসদের এজিএস এবং প্রমী খীসা সদস্য পদে নির্বাচন করেন।
অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাফিয়া ও প্রমীকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বাকিরা অনশন ভাঙার আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ব্যর্থ হন ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং এজিএস ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
রোকেয়া পরিষদের মৌসুমী তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আমাদের হেনস্তা করেছেন। আপনাদের কথা আমরা শুনব না।’
অনশনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে ওই সময় হলের অনেক ছাত্রী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রীদের প্রতিবাদের মুখে ফিরে যেতে হয় ছাত্রলীগ নেতাদের।
পুনর্নির্বাচন ও প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদার অপসারণের পাশাপাশি ভোটের দিন প্রাধ্যক্ষের ওপর হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে সাত প্রার্থীসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও রয়েছে অনশনকারীদের চার দফার মধ্যে।
এর আগে ভোট কারচুপির অভিযোগ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন, হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসে হলের পাঁচ শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৩ মার্চ) রাত নয়টা থেকে তাঁরা রোকেয়া হলের ফটকে অনশন শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অনশনস্থলে এসে নুরুল হক নুর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন।
এসময় নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি তাদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। রোকেয়া হলের প্রভোস্টের এই পদে বহাল থাকার কোন নৈতিক অধিকার নেই।
শিক্ষার্থীরা সারারাত হলের বাইরে থাকা স্বত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন নুর।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি সব প্যানেল।
বিডি২৪লাইভ/এইচকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: