সরিষাবাড়ীতে রাজাকারের স্থান হবে না: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০১৯, ০৬:৪১ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর কোন জায়গায় রাজাকারের স্থান হবে না। প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি মোড় বা বিশেষ স্থানে সোনার বাংলা গড়ার স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি স্থাপিত হবে।

আগামী বছর ১৭ মার্চের উপজেলায় পরিষদ স্থানে সারাদিন বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকল ভাষন ও গান পরিবেশিত হবে। অনুষ্ঠানে অংশগহণকারী সকল প্রতিযোগীদের আপ্যায়নসহ সব ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ। এ দেশে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ছাড়া অন্য কোন আর্দশের রীতি থাকতে পারে না। এ জন্য সকলকে আরো সচেতন হওয়ার আহব্বান জানান।

উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মাঠে জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যান মন্ত্রানালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ডাঃ মুরাদ হাসান এ কথা গুলো বলেন। প্রতিমন্ত্রী আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নাবিজড়িত কন্ঠে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মস্ত্রীত্ব দিয়েছেন।

এ ঋন শোধ করার নয়। দেশের জন্য কাজ করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে চাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার মর্যাদা রক্ষার জন্য তিনি সকলের প্রতি সহনশীলতা কামনা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ও তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ, উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান।

আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী আফিয়া আদিবা সুলতানা, আফরিন জাহান প্রান্ত প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক এ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম মানিক। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে সনদ তুলে দেন। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যান মন্ত্রানালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ডাঃ মুরাদ হাসান দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।

পরে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে জন্মদিনের কেক কাটেন। স্থানীয় প্রশাসন আয়োজিত একটি বর্ণাঢ়্য র‌্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদে আলোচনা সবায় মিলিত হয়। এ সময় এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশার মানুষ এবং দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: