হজ নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার 

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৯, ০২:১২ পিএম

হজ নিবন্ধনের জন্য ধর্মমন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)। কিন্তু এখনও অর্ধেকও নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে পারেনি এজেন্সি গুলো।

সূত্র জানায়, বর্ধিত সময়েও শেষ হচ্ছে না চলতি বছরের হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম। সৌদি সরকার নির্ধারিত কোটার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫৩ হাজার ১৭৩ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। ধর্মমন্ত্রণালয়ের বেধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হবে বৃহস্পতিবার। এ সময়ের মধ্যে বাকি ৭৪ হাজার ২৫ জনের নিবন্ধন সম্ভব হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা আভাস দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের পক্ষ থেকে আরেক দফা সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হতে পারে। আর সময় না বাড়ালে প্রাক-নিবন্ধিত অপেক্ষমান তালিকা থেকে নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন বলে হজ অফিস সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের এ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। তবে বিভিন্ন কারণে শুরু থেকে ব্যাপক ধীরগতিতে চলে এ নিবন্ধন। এরই মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময়সীমা প্রথমে ৫ থেকে ১২ মার্চ এবং পরে ২১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর বেসরকারি ব্যপস্থাপনায় নিবন্ধন ১০ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ২১ মার্চ নির্ধারণ করে ধর্মমন্ত্রণালয়।

সূত্র মতে, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পাদিত হজ চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন। ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ধর্মমন্ত্রণালয়ের হজ অফিসের অধীনে প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্য থেকে কোটা অনুযায়ী চূড়ান্ত নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের পর প্রাক-নিবন্ধিত অপেক্ষমান তালিকা থেকে ক্রমানুযায়ী নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

হজ অফিসের নিবন্ধন সার্ভার সূত্র মতে, গত সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সব মিলিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ৬২৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৭ হাজার ৫৪৪ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এক হাজার ৫৬৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭২ হাজার ৪৫৬ জনের নিবন্ধন এখনও বাকি রয়েছে, যা বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ধর্মমন্ত্রণালয়ের নিয়মানুযায়ী নিবন্ধনের সময় সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের নির্ধারিত প্যাকেজ মূল্য পরিশোধ এবং এমআরপি পাসপোর্টের কপি জমা দিতে হচ্ছে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের বিমানভাড়া ও সৌদির বিভিন্ন চার্জ বাবদ এক লাখ ৪২ হাজার ৬৪৬ টাকা এবং এমআরপি পাসপোর্টের কপি জমা দিতে হচ্ছে। তবে অনেক হজযাত্রীর পাসপোর্ট হাতে পেতে দেরি হওয়া এবং এজেন্সি মালিকদের হাতে হজযাত্রীদের টাকা না পৌঁছানো সহ বিভিন্ন কারণে ধীরগতিতে নিবন্ধন হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অধিকাংশ নিবন্ধন হয়ে যাবে। না হলে আরও একবার সময় বৃদ্ধির আবেদন জানানো হবে। এরপর নির্ধারিত সিরিয়ালের বাইরে থেকে নতুনভাবে নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সুযোগ দিতে ধর্মমন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।

তিনি জানান, গেল বছর পর্যন্ত ১৫০ জনের কম হলে কোনো হজ এজেন্সি এককভাবে হজযাত্রী পরিবহন করতে পারতেন না।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: