চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আবরার আহমেদ (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৫:৪২ পিএম

বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সু-প্রভাত বাসের চাপায় নিহত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসচাপায় মারা যান আবরার। বিইউপির ছাত্র আবরার মালিবাগে নিজ বাসায় থাকতেন। এ ঘটনায় বাসচালককে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নিহত শিক্ষার্থীর নাম আবরার আহমেদ চৌধুরী (২০)। তাঁর বাবা আরিফ আহমেদ চৌধুরী।

দুর্ঘটনার পর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো:-

১। পরিবহন সেক্টরকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে এবং প্রতি মাসে বাসচালকের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করতে হবে।

২। আটক চালক ও সম্পৃক্ত সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৩। আজ থেকে ফিটনেস বিহীন বাস ও লাইসেন্স বিহীন চালককে দ্রুত সময়ে অপসারণ করতে হবে।

৪। ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সকল স্থানে আন্ডারপাস, স্পিড ব্রেকার এবং ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।

৫। চলমান আইনের পরিবর্তন করে সড়ক হত্যার সাথে জড়িত সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৬। দায়িত্ব অবহেলাকারী প্রশাসন ও ট্রাফিক পুলিশকে স্থায়ী অপসারণ করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭। প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চলাচল বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে বাসস্টপ এবং যাত্রীছাউনি করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং

৮। ছাত্রদের হাফ পাস (অর্ধেক ভাড়া) অথবা আলাদা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে।

প্রসঙ্গত, অবরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বেলা ১১টার কিছু পর ঘটনাস্থলে যান মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে বাসচালকের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে। সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাস ওই রুটে চলতে দেওয়া হবে না। নিহত আবরারের নামে সেখানে তিন-চার মাসের মধ্যে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

 

&dquote;&dquote;

মেয়র আরও বলেন, খুব শিগগির ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাজধানীর বাস চলাচল একটি পদ্ধতির আওতায় আনা হবে। অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সব ব্যবস্থা নেব। আপনারা অবরোধ তুলে নেন।’

তবে অবরোধকারীরা মেয়রের আহ্বানে সাড়া দেননি। তাঁরা প্রশ্ন রাখেন, জাবালে নূর পরিবহন এখনো চলছে। এখনো প্রতিদিন সড়কে প্রাণহানি ঘটছে। অবরোধকারীদের এমন মন্তব্যের পর মেয়র ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: