‘বঙ্গবন্ধু শুধু স্থাপতি নন বরং প্রকৌশলীও’ 

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৯, ১০:১১ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছিন্ন। আমাদের যে চেতনা সেটা গেঁথে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। কখনো কোন কিছুতে আপোষ করেন নি তিনি। বঙ্গবন্ধু যে আমাদের জাতির পিতা সেটা মনে ধারণ করতে হবে। তিনি শুধু স্থাপতি নন বরং প্রকৌশলীও। বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি নতুন দেশ গঠনের পাশাপাশি সেটিকে দ্রুত শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু সম্মোহনী শক্তির মাধ্যমে দেশের সব শ্রেণীর মানুষকে সহজে আপন করে নিয়েছিলেন।’

বুধবার (২০ মার্চ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং’ কর্তৃক আয়োজিত ‘বিজ্ঞান মনস্ক সমাজ গঠনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে প্রবৃদ্ধির হার ৮.৫ শতাংশ। সারাদেশ ১০০ টি অর্থনৈতিক জোন তৈরীর প্রক্রিয়া চলছে। বিজ্ঞানী ও গবেষকরা কাজে আগ্রহী হচ্ছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য নিজেরা ফান্ড তৈরি করা হয়েছে যেটা বিশ্বে প্রথম।

বুধবার বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি, থাইল্যান্ড) এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. জয়শ্রী রায়।

জয়শ্রী রায় তার বক্তব্যে বলেন, বাঙালি ছিলাম বলে একাত্মবোধ বিষয়টি চলে আসে। বঙ্গবন্ধু চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ আমার জীবনের সন্তুষ্টি। বঙ্গবন্ধু কখনোই নিজেকে নিয়ে ভাবেননি, মানুষ, দেশ ও বিশ্বকে নিয়ে ভেবেছেন। সকল ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার মান বাড়তেছে। ২১০০ সালের মধ্যে হিমালয়ের তিন ভাগের এক ভাগ হারিয়ে যাবে ১.৫ মাত্রায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়লে। আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ালে এটার কিছুটা সমাধান সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক নিয়ে এআইটি তে যাওয়া সম্ভব। সঠিক পলিসি গঠন করতে গবেষণা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা বিজ্ঞানমনস্কতা, শিল্প সাহিত্য তো বটেই পুরো দেশ পেয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা স্বাধীনতা পেয়েছি। অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্থানীয় ভূমির লোকায়ত জ্ঞানের সাথে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে মিলিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণে ব্যর্থতা ইত্যাদি বিষয়াদি বাঙালি জাতির দুঃখ দুর্দশার মূল কারণ। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে জাতির জনকের ভাবধারা ও দর্শনের প্রচার ও প্রসার ঘটানো এই দুই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।'

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. শেখ তৌহিদুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নূরুল আলম, ট্রেজারার মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: