বাংলাদেশে আলজাজিরা বন্ধ, যা বলল রিজভী

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০১৯, ০১:১৮ পিএম

আলজাজিরা ব্লক করে সরকার প্রমান করল তারা সত্যকে গলা টিপে রাখতে চায় মন্তব্য করে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বাকশাল পুণ:প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে গণমাধ্যমকে হত্যা করা হচ্ছে।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ বলেব, ‘বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার ইনভেষ্টিগেটিভ ইউনিট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তিনজনকে গুম করার অভিযোগ উঠেছে। প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৩ কর্মচারীকে আইনের অপব্যবহার করে তুলে নিয়ে গুম করা হয়েছে। সম্প্রতি এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশে আলজাজিরা ব্লক করে দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ থেকে এখন আর তাদের ওয়েব সাইটটিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এর মাধ্যমে সরকার আবারও প্রমান করল সত্যকে গলা টিপে রাখতে চায় তারা। বাকশাল পুণ:প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে গণমাধ্যমকে হত্যা করছে তারা।’

রিজভী বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকার গত এক দশকের বেশি সময় ধরে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। শেখ হাসিনার চোখে চিরকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকার স্বপ্ন। আর সেজন্য ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিরোধীদল ও মতকে দমন করতে এমন কোন বর্বর ও নির্দয় পন্থা নেই যা করছেন না। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সংগঠন প্রকাশ্যে কিংবা তাদের গোপন সংস্থাগুলোর মাধ্যমে এই গুম-খুন করা হচ্ছে। এই গুম-খুনের সাথে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজনও জড়িত বলে তথ্য-প্রমানসহ বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। নিজেদের ব্যবসায়িক কারণেও গুম করা হচ্ছে মানুষকে। কোন মানুষেরই জীবনের নিরাপত্তা নেই।’

তিনি বলেন, ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরাই যদি সহজাত বিচার-বুদ্ধি হারিয়ে গুম-খুনের সওদাগরীতে মেতে থাকে তাহলে মানবাধিকারের আর্তনাদ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাবে না-যা সভ্য সমাজে অনভিপ্রেত। বিরোধী দলবিহীন একতরফা নির্বাচন, মিডনাইট নির্বাচন ইত্যাদির সাফল্যে আত্মহারা হওয়ার জন্যই শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতোই ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের মাথায় আঁধার নেমেছে। আর এজন্যই তারা গুম-খুনের খেলায় বেপরোয়া ভাব দেখাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ও সরকার বিরোধী অসংখ্য নেতাকর্মীকে এখনও গুম করে রাখা হয়েছে। দেশটাকে এখন শেখ হাসিনা ‘গুমরাজ্য’ বানিয়েছেন। ‘গুমঘর’ থেকে কেউ কেউ সৌভাগ্যক্রমে ফিরে আসলেও অনেকের স্ত্রী-সন্তান-মা-বাবা-স্বজনরা দিনরাত চোখের পানিতে বুক ভাসাচ্ছেন হারিয়ে যাওয়া তাদের প্রিয়জনদের জন্য। তারা কার কাছে বিচার চাইবে? কার কাছে যাবে?’

বিডি২৪লাইভ/এমই/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: