ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:৩৩ পিএম

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নে বাসুদেবকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্বুল ছাত্রীতে কু-প্রস্তাব ও বুকে জড়িয়ে ধরে শরীরের আপত্তিকর স্থানে হাত দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (০১ এপ্রিল) দুপুর ২ টার দিকে ওই বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে ভুক্তোভোগি স্কুল ছাত্রী ও পরিবার প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূঞাপুর থানা বরাবর একটি অভিযোগ ও মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের (চন্ডিপুর) গ্রামের বাসিন্দা।

ওই স্কুল ছাত্রীর দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার বাসুদেবকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গত ১লা এপ্রিল দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এ সময় ওই ছাত্রী বাইরে বের হতে চাইলে তাকে জড়িয়ে ধরে বুকে ও শরীরের আপত্তিকর স্থানে হাত দেয়। ছাত্রীটি ডাক-চিৎকার করতে চাইলে বাঁধা দিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে জোরে চিৎকার দিলে প্রধান শিক্ষক তাকে ছেড়ে দেয়।

পরে শিক্ষক আবদুল খালেকের রোষানলে থেকে বেরিয়ে ছাত্রীটি আর ক্লাসে না গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে তার মা ও ভাবির কাছে ঘটনাটি বলে।

এরপর বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বর ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কাছে জানালেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানা যায়। কোন উপায় না দেখে ওই ছাত্রী বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার থানা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ ছাড়াও ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি আবদুল খালেক সরকার জানান, মেয়েটির পরিবার এ বিষয়ে অভিযোগ করেছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে ঘটনাটি সত্য, আমি এর দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই।

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযোগের বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ বলেন, মেয়েটির একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ  অস্বীকার করেছেন। বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।

অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও শিক্ষক আবদুল খালেক ভূঞাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকাবস্থায় সহকর্মী শিক্ষিকাদের প্রতি আপত্তিকর মন্তব্য করেন। পরে সেটি জানাজানি হলে তদন্তের মাধ্যমে খালেককে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি হিসেবে চর বাসুদেবকোল স্কুলে বদলি করা হয়। সেখানে যোগদান করে তার বিকৃত চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটান ৪র্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর ওপর।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: