প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুলের ভাই

প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:০৫ পিএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমীন বলেছেন, দল নয়, এলাকার উন্নয়নই বড়। উন্নয়নের সূচনা হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লাকে ভোটে হারিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র হন ফয়সল আমীন। পরের বছর বিএনপির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন তিনি।

সোমবার (৮ এপ্রিল) শহরের স্বর্ণকার পট্টি থেকে মির্জা পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত পৌনে দুই কিলোমিটার রাস্তার পুনঃপাকাকরণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ফয়সল।

তিনি বলেন, পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর নানাভাবে চেষ্টা করে তিন বছরে এলাকার জনগণের জন্য তেমন কিছু করতে পারেননি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ঠাকুগাঁওয়ে গেলে তার কাছে উন্নয়নের দাবিগুলো তুলে ধরা হয়েছিল, তারই ফল আসতে শুরু করেছে এখন।

ফয়সল আমীন বলেন, আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি পৌরসভার সে দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন এবং বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার স্বর্ণকার পট্টি থেকে মির্জা পাম্প পর্যন্ত পৌনে দুই কিলোমিটার রাস্তা পুনঃপাকাকরণে বরাদ্দ আসে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকার আশা প্রকাশ করে মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, আজকে আমি মেয়র আছি, আগামীতে নতুন মেয়র আসবে। কিন্তু রাস্তাঘাট, এলাকার জনগণ থেকে যাবে। এখানে দল বড় কথা নয়, এখানে উন্নয়নটা-এলাকার লোকের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড় জিনিস।

বিরোধী দলের নেতা মেয়র হওয়ায় ‘দুর্ভাগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করে ফয়সল আমীন বলেন, পৌরসভার উন্নয়নের জন্য ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের সঙ্গে ঢাকায় তার বাসায় দেখা করেছি। উনার কাছ থেকে ডিও লেটার নিয়েছি, কাজের জন্য তদবির করেছি। সংসদ সদস্য রমেশ নিজেই এ বিষয়ে বহুবার সহযোগিতা করেছে। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, আমি বিরোধী দলের মেয়র হিসেবে গত তিন বছরে কোনো উন্নয়ন কাজ করতে পারিনি। আমার দুর্ভাগ্যের সাথে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৫৬ হাজার ভোটার ও বসবাসরত সকল মানুষের ভাগ্য জড়িত ছিল।

&dquote;&dquote;বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের সৎ ইচ্ছা রয়েছে; আমরা যতবার উনার কাছে গিয়েছি উনি বলেছেন, করে দিব। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। যে কাজ আজকে এখানে উদ্বোধন হয়েছে এ কাজ সাংসদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিল এবং সেই সাথে ছিল আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস। এই প্রয়াসে আজ কিছু টাকা এই প্রকল্পের আওতায় আমরা পেয়েছি; যার মধ্য সবচেয়ে জরুরি কিছু রাস্তাঘাট স্কিম আকারে আমরা হাতে নিয়েছি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশী, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: