পানিকে আর্শীবাদে রুপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০১:২৮ পিএম

বাংলাদেশ নদী মাত্রিক দেশ। পৃথিবীর সকল সভ্যতা গড়ে উঠেছে নদীর তীর ঘিরে। কিন্তু এই নদীর পানি অনেক সময় মানুষের জীবনে সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই নদীর পানিকে কি ভাবে আর্শীবাদে রুপান্তরিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পানি দিবস ২০১৯
উদযাপনের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বদ্বীপ অঞ্চলে বসবাস করি। সে কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়। প্রকৃতি যেমন নেয়, তেমন দেয়। আমরা তার কাছ থেকে কতটুকু নিতে পারলাম সেটা হলো বড় কথা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যেন দেশের মানুষকে আর কখনো দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হতে না হয়। সে জন্য বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চৈত্র-বৈশাখ মাস এলেই নদীর পানি শুকিয়ে যায়। আমাদের এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন শুকনো মৌসুমেও নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকে। আমাদের হাওড়-বাওড়-বিলগুলো জলাধার হিসেবে কাজ করে। এগুলোতে সারাবছর পানি থাকে। সেখান থেকে পানি নদীতে নেমে যায়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, অধিক ফসলের ফলনসহ বিভিন্ন ধরনের চিন্তা থেকে বাধ দিয়ে এমন অবস্থা তৈরি করা হয় যে জলাধারগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বর্ষায় যখন পানি আসে, পানি নামার জায়গা পায় না। ভাঙন বেশি হয়।

নদী শাসনের প্রবণতার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনে অনেক নদীতে ব্রিজ তৈরি করি। আমাদের প্রবণতা থাকে নদী শাসন করার। ব্রিজটা যেন ছোট হয়, সেজন্য নদীকে ছোট করা হয়। আমি এই মতের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে ভিন্নতা পোষণ করছি। নদীর স্বাভাবিক গতি যেন অব্যাহত থাকে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্ষাকালে যখন বেশি পানি আসে, সেই পানিকে ধারণ করার জন্য বাফার জোন রাখতে হবে। সেভাবে পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। আমরা নদীকে বেঁধে ফেলি, কিন্তু নদী বাধ মানে না। সুনামি, সিডরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা দেখেছি, পানির তোড়ে সবকিছু ভেসে যায়। তাই পানিকে বেঁধে না রেখে এর চলাচলের সুব্যবস্থা করে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ২২ মার্চ পানি দিবস পালিত হলেও এবার ওই দিন শুক্রবার হওয়ায় দিবসটি পালন করা যায়নি। এ কারণে ১১ এপ্রিল দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এ বছর জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’।

বিডি২৪লাইভ/এসবি/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: