ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে উন্মুক্ত স্থানে বর্ষবরণ

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:২৪ পিএম

বাংলা বর্ষবরণের জন্য আয়োজিত সব উন্মুক্ত স্থানের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বিকেল ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে। এরপরেও যদি কেউ ইনডোরে অনুষ্ঠান করতে চান তাহলে বিধিনিষেধ নেই, সেসব স্থানে আমরা সাধ্যমতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো। মূল অনুষ্ঠানস্থল রমনা ও সোহরাওয়ার্দী পার্কে বিকেল ৫টার পর প্রবেশ বন্ধ থাকবে।

অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য উদযাপন নিশ্চিত করতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। বড় উৎসবস্থলগুলোতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে নিরাপত্তার যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা মুখোশ ব্যবহার করবেন তারা মুখে না পড়ে হাতে রাখতে পারবেন। যারা মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ ও বিভিন্ন সামগ্রী বহন করবেন চারুকলা থেকেই তাদের একটি তালিকা পুলিশকে দেওয়া হবে।

রমনা পার্ক এলাকায় কন্ট্রলরুম থাকবে, সেখান থেকে সার্বক্ষণিক সবকিছু মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। পুরো এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজরদারি করা হবে। রমনা-সোহরাওয়ার্দী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক এলাকা পুরোটা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

পহেলা বৈশাখের প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থল থাকবে ধূমপানমুক্ত, ধূমপান করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি উৎসবস্থলে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে, যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।

সম্মানিত নগরবাসীকে আহবান জানিয়ে কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থলে কোন প্রকার ব্যাগ প্যাক, ট্রলি ব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, হ্যান্ড ব্যাগ, ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, দাহ্য পদার্থ, ব্লেড, নেল কাটার সঙ্গে নিয়ে আসা যাবে না। তবে মহিলারা ছোট হ্যান্ড পার্স নিয়ে আসতে পারবেন। বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করে সকলকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ঢাকা মহানগরের নিরাপত্তার স্বার্থে উৎসবমূখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও মেনে চলতে সকলের সহযোগিতা কমনা করেন ডিএমপি কমিশনার।

ব্রিফিং এ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: