‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে’

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:১০ পিএম

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, পার্বত্য জেলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে জেলা তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জেলা পরিষদের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত পরিষদের মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনস্বার্থে সরকার আমাদের নিয়োগ দিয়েছেন তাই জনকল্যাণে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তবেই দেশের উন্নয়ন হবে, দেশ এগিয়ে যাবে।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পরিষদের সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ, সদস্য মোঃ জানে আলম, সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সদস্য থোয়াইচিং মারমা, সদস্য সান্তনা চাকমা, সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী ক্য হ্লা খইসহ হস্তান্তরিত বিভিন্ন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে যাতে কোন ধরনের গাফেলতি না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। পার্বত্য জেলার উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন। সরকারের বহুমুখী উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সভায় উপস্থিত সকল কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন (ভাঃ) ডাঃ নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এখতিয়ারধীনে রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে সকল স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজ হোসেন বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১০ ও ৩১ শয্যা হাসপাতালগুলো ৫০ শয্যায় উন্নীত করার লক্ষ্যে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে।

ইতিমধ্যে জুরাছড়ি ও লংগদু উপজেলা হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নীত করার লক্ষ্যে সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। টেন্ডার হলে কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে বরকল, বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলা হাসপাতালগুলোর সয়েল টেস্ট এর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, গত মাসে জাতীয় শিক্ষা মেলা উদযাপন করা হয়েছে। মেলায় জেলার ৮টি উপজেলা থেকে শিক্ষা উপকরণ নিয়ে স্টল বসানো হয়েছিল। মেলায় কাপ্তাই উপজেলা ১ম, লংগদু ২য় এবং সদর উপজেলা ৩য় স্থান অর্জন করে।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বলেন, জেলায় শিক্ষক সংকট অনেকটা নিরসন হয়েছে। এখন প্রায় প্রতিটি মাধ্যমিক স্কুলে ৯০ থেকে শতভাগ শিক্ষক রয়েছে। শিক্ষক সংকট নিরসন হওয়ার ফলে শিক্ষার গুণগতমান আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, জেলা পরিষদ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। যাতে ১১৫জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে শীঘ্রই বৃত্তি প্রদান করা হবে।

সমাজসেবা বিভাগের সহকারী পরিচালক রূপনা চাকমা বলেন, সমাজসেবা কর্তৃক বৃদ্ধ, বিধবা, প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রদানকারীদের মার্চ মাসের ভাতা ইতিমধ্যে ব্যাংকের একাউন্টে জমা হয়েছে। যা শীঘ্রই তাদের একাউন্টে প্রেরণ করা হবে।

সভায় হস্তান্তরিত বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ তাদের বিভাগের স্ব স্ব কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: