ভাইরাল হওয়া সেই সেফুদা বাবার ত্যাজ্যপুত্র

বিভিন্ন কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা বাবার ত্যাজ্যপুত্র। আজ থেকে ২৫ বছর আগে তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন তার বাবা হাজী আলী আকবর।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সেফাত উল্লাহ সেফুদা পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সেফুদা চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ১৩ নং সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চেড়িয়ারা গ্রামের মৃত হাজী আলী আকবরের পুত্র। সেফুদার বাবা তিনটি বিয়ে করেন। সবঘর মিলে সেফুদার ভাই-বোন ১৫ জনের অধিক। জানা গেছে সেফুদার আপন ভাই-বোনের সংখ্যা আটজন। তবে কারো সাথে তার সর্ম্পক নেই।

পারিবারিক জীবনে সেফুদার এক সন্তান রয়েছে। তিনি ইংল্যান্ডে থাকেন। তার স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। প্রায় ২২ বছর আগে সেফুদা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যান। পরিবারের অবাধ্য এই সেফুদা একজন বিকারগ্রস্ত প্রতিবন্ধী বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান।

সূত্রে জানা গেছে, সেফুদার বাবা হাজী আলী আকবর কোন সম্পত্তি তাকে দেননি। ত্যাজ্যপুত্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এমনকি হাজী আলী আকবর মারা যাওয়ার সময়ও দেশে আসেননি এই সেফুদা। পরিবারের কারো সাথে তার যোগাযোগ নেই।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল আলোচিত-সমালোচিত সেফাত উল্লাহ সেফুদাকে দেশে অথবা বিদেশে আইনের হাতে তুলে দিতে পারলে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মগন্থ পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননাকারী সেফাত উল্লাহ সেফুকে দেশ এবং বিদেশের মাটিতে যারা আইনের আওতায় সোপর্দ করতে পারবে, তাদের জন্য ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।’

এদিকে শুক্রবার সকাল ১১টায় সেফুদা ফেসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন, এটি কোরআন শরীফ ছিল না। এটি একটি বই। এক কবি উপহার দিয়েছিল। তবে রাগে-ক্ষোভে কথাগুলো বলেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ/এএস