গায়ে কেরোসিন ঢেলে শিক্ষার্থীদের অবরোধ

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:২০ পিএম

বেতন ও ভর্তি ফি সহ বিভিন্ন খাতে ফি কমানোর দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসন ভবন অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ক্যাম্পাসে মিছিল ও মানববন্ধন করে তারা।

পরে সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটক অবরোধ করে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুই শিক্ষার্থী গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেয় এবং বেতন ফি না কমানো হলে আত্মহত্যারও হুমকি দেয় তারা।

এ সময় অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা ‘বাবার রক্ত যদি সেই চুষতে হবে, প্রাইভেট না হয়ে পাবলিক কেন তবে?’, ‘ছাত্রের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নয়’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, এত টাকা গেল কই’, এক দফা এক দাবি, বেতন ফি কমাতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজন প্রশাসন ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসে যায়।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) সহযোগী অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে যান এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।

আন্দোলনকারীদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে উপাচার্যের আলোচনার প্রস্তাব দিলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যান। একপর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারী দুই ছাত্র গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার হুমকি দেয়।

এ সময় আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি ফিসহ অন্যান্যা ফি চারগুণ বৃদ্ধি করে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার করা হয়। এখন প্রতি বছর সাড়ে ৯ হাজার টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। যা আগে ছিল ৩ হাজার। এত টাকা বহন করা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। এ সকল ফি না কমানো পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

পরে বেলা ১টার দিকে প্রশাসন ভবন থেকে সরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও শৈলকূপাগামী দুপুর ২টার ট্রিপের বাস আটকা পড়ে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সতিমির সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে ডসয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।

এ সময় তিনি আগামীকাল বেলা ১২টার মধ্যে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত দেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। একইসাথে প্রশাসন ভবনের সামনের অমরণ অনশনকারী চার শিক্ষার্থীকে অনশন ভাঙ্গান প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আনিছুর রহমান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আমরা ফি বৃদ্ধি করেছি। তাও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কম। এটা একটা মিমাংসীত ইস্যু।’

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: