এসির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফিস ঘেরাও!

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:০০ পিএম

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদীয় ডিন অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ জানিয়েছে ওই অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো নিয়ে ডিন অফিসের সামনে গিয়ে জড়ো হয়।

প্রচণ্ড গরমে শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, ভালো সাউন্ড সিস্টেমসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা।

সেখানে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এরপর সেখানে কৃষি অনুষদীয় ছাত্র সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলে সবাই একযোগে ডিন অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহিরউদ্দিনের কাছে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরে।

এ সময় তিনি সাময়িকভাবে ক্লাসরুম পরিবর্তন করে দিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। শিক্ষার্থীরা স্থায়ী সমাধান দাবি করলে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে কয়েক দিনের সময় চেয়ে নেন। তিনি ৩০ তারিখ অনুষদের বিভাগীয় প্রধানদের সভায় বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যায়।

এ বিষয়ে কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সহ-সভাপতি মাহাথীর সামি বলেন, আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান ও শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো প্রশাসনের কাছে তুলে ধরি। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতিতে বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অমীমাংসিত থেকে যায়। আজকের বিষয়টির অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য ৩০ তারিখের সভায় ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের ছাত্র সমিতির ৫ জন সেখানে উপস্থিত থাকবে।

এ বিষয়ে ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহিরউদ্দিনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের বিভিন্ন সময় আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। আজকে কিছু বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে, আমি তাদের সমাধান দিয়েছি এবং আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে।

ক্লাসরুমের পরিবেশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ছোলাইমান আলী ফকির বলেন, শিক্ষার্থীরা দাবি করেছে, বিষয়টা ঠিকই আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের এ সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল অংকের বাজেট অনুমোদন হলেও শিক্ষা ও গবেষণা খাতে ব্যয় ধরা হয় সামান্য। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭৮ কোটি টাকা বাজেটের প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ভাতা ও পেনশন খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: