বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে চমক দেখালেন আলিম ও জুলহাস

২৪ জুলাই ২০২২, ১:৩৯:৫৬

বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে চমক দেখালেন বরগুনার আঃ আলিম (৩৫) ও জুলহাস (৪০)। পরিশ্রম আর বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে দুজনেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। আঃ আলিম গত বছর….শতাংশ জমি থেকে আয় করেছেন ৩লাখ টাকা। এবং জুলহাস এবছর নতুন ৮০ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করছেন। বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নে আঃ আলিম এবং এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের জুলহাস মিয়া ইউটিউবে অসময়ে এমন বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ পদ্ধতি ভিডিও দেখে তাঁর আগ্রহ বেড়ে যায়। এরপর আঃ আলিম নিজের ৭০ শতাংশ ও জুলহাস এবছর নতুন করে ৮০শতাংশ জমিতে চাষ করেন তরমুজ।

বর্ষার মৌসুমে তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন এই দুই কৃষক। প্রতিটি তরমুজ বেশ বড়। গড় ওজন ৫-৬ কেজি। এমন তরমুজের খেত দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন হরহামেশাই। এ তরমুজ গুণে ও মানে খুবই ভালো এবং বেশ সুস্বাদু বলে জানান এলাকবাসী। মৌসুমী তরমুজের চাইতে মিষ্টি হওয়ায় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে বলে জানান এই দুই চাষী।

বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ বিষয়ে আঃ আলিম এর সাখে কথা বলে জানা যায়, অনলাইনে ঘেরের পাশে তরমুজ খেত দেখে অনুপ্রেরণা জাগে আঃ আলিম এর। সে মন স্থির করে বর্ষার মৌসুমে তরমুজ চাষ করবে। এরপর মালচিং পদ্ধতিতে….শতক জমিতে বেড তৈরী করেন। বেড তৈরি করতে তাঁর খরচ হয় মাত্র…হাজার টাকা।….হাজার টাকায় পাকিজা কোম্পানীর….তরমুজ বীজ কিনে বপন করেন।

এম. বালিয়াতলীর জুলহাস বলেন, সর্বমোট আমার খরচ হয়েছে ৬০-৭০ হাজার টাকা। তরমুজ বিক্রি হয়েছে আনুমানিক ৪-৫ লাখ টাকা। আমি ভবিষ্যতে তরমুজ চাষ করব। বর্তমানে দুইবিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এর আগে শশা চাষ করে সফলতা পেয়েছিলাম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা আর্থিক কোন সহযোগিতা করেন নি। কিন্তু সার্বক্ষণিক বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেছেন। চাইলে যে কেউ এ তরমুজ চাষ করতে পারেন।

বর্ষাকালে তরমুজ চাষের সুবিধা উল্লেখ করে তারা বলেন, বছরের অন্য সময়ের চাইতে বর্ষাকালে তরমুজ চাষের সুবিধা হলো পানি দিতে হয় না। সার কম লাগে এবং মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করার কারণে খরচ নাই বললেই চলে। এই তরমুজ চাষের আরেকটি সুবিধা হলো কোন কিটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। বর্তমানে স্থানীয় লোকজন, সাংবাদিক ও দূর দূরান্ত থেকে তরমুজ ক্ষেত দেখতে অনেক লোক আসছে।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জুলহাস ও আঃ আলিম আমাদের পরিচিত কৃষক। গত বছর আঃ আলিম তরমুজ চাষ করে সাফল্য লাভ করছে। আবর এবছরও তিনি তরমুজ চাষ করেছে। এবং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের জুলহাস মিয়া গতবছর শশা চাষ করে সাফল্য এসেছিল। এবার তিনি বর্ষাকালে…শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। বেশ ভালো লাভ হবে মনে হচ্ছে। সিজিন্যাল তরমুজের চাইতে এ তরমুজের স্বাদ অনেকটাই বেশি। যে কেউ সবজি, ফলমূল চাষ করতে চাইলে তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা সবসময়ই করা হয়।

বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে চমক দেখালেন আঃ আলিম ও জুলহাস মিয়া। তাঁর এ সাফল্য দেখে উপজেলা অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তারা বর্ষাকালীন সবজি চাষের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।