গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১০ অক্টোবর ২০২২, ১১:০৫:৫৬

পাবনার আটঘরিয়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আটঘরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), আবু বকর শেখের ছেলে লিটন শেখ (২৯), তামেজ শেখের ছেলে আব্দুল্লা মেম্বর (৩৩), মৃত তজিম উদ্দিনের ছেলে খোয়াজ শেখ (৪০), আব্দুস সালাম শেখের ছেলে আজমত শেখ (৩২)।

রায় ঘোষণার সময় আব্দুল্লাহ মেম্বর ছাড়া সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর দুইজন আসামী জিন্নাহ আলী ও আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রামানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নিহত গৃহবধূ তার ছেলেকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী গোপালপুরের কাজির বাজারে যান। রাতে তিনি বাড়িতে ফেরেননি। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলে দেখে তার মা বাড়িতে আসে নাই। তখন সে তার মামা বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানায়। এরপর আত্মীয় স্বজন অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায় না। ঘটনার তিনদিন পর প্রতিবেশীর হলুদের জমিতে লিচু গাছের সঙ্গে দুর্গন্ধযুক্ত লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এরপর স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করে। মামলার এজহারে তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা উল্লেখ রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিদ্দিক প্রামানিক বাদি হয়ে ঘটনার ৪ দিন পর ১২ সেপ্টেম্বর আটঘরিয়া থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এটা একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ধর্ষণের পরে তাকে স্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ হলুদের খেতের লিচু গাছের সঙ্গে বেধে রাখা হয়। সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রামানিত হয়েছে। আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিয়মান হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে। তারপরেও এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।