হেলিকপ্টারে করে নববধূ নিয়ে গ্রামে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি!

১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ৯:১২:০৩

হেলিকপ্টারে করে নববধূ নিয়ে গ্রামে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি, এ নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। কুড়িগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে নববধূকে নিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন নেত্রকোনার হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলে অপু বাসফোর। মৃত বাবা দিলিপ বাসফোরের স্বপ্ন পূরণ করতে এ আয়োজন করেছেন তিনি। কনে সানিতা রানী কুড়িগ্রাম পৌর শহরের বস্তি পাড়া গ্রামের হরিজন ভুট্টু বসফোরের মেয়ে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। পরে হেলিকপ্টারটি দেখতে হাজারো মানুষের ভিড় জমে। নববধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বর অপু বাসফোরের বাড়ি নেত্রকোনা সদরে আর শানিতা রানীর বাড়ি কুড়িগ্রাম পৌর শহরের বস্তি পাড়ায়। অপু বাসফোরের নিকটতম আত্মীয় কুড়িগ্রামে বসবাস করায় পারিবারিকভাবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।

শানিতা রানীর বাবা ভুট্ট বাসফোর বলেন, আমরা গরীব মানুষ। বর পক্ষ আমাদের মেয়েকে পছন্দ করেছে। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে দেওয়া হলো। মেয়েকে হেলিকপ্টারে করে বউ বানিয়ে নিয়ে যাবে এ কথা কখনোই বিশ্বাস করতাম না। আজ হেলিকপ্টার এসে মেয়েকে যখন নিয়ে গেল বুকটা শান্তিতে ভরে গেল।

বর অপু বাসফোর বলেন, আমার বাবা গত দুই বছর আগে মারা গেছেন। তার ইচ্ছে ছিল বড়সড় আয়োজন করে আমার বিয়ে দেবে। তিনি বারবার বলেছিলেন আমার বউমাকে যেন হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাই বাবার আত্মার শান্তি ও স্বপ্ন পূরণে ঘণ্টা প্রতি ৮০ হাজার টাকা খরচ করে হেলিকপ্টারে করে বউকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।

হেলিকপ্টার দেখতে আসা মো. রহিম নামের একজন বলেন, আমি কখনোও হেলিকপ্টারে বর যাত্রী যেতে দেখি নাই। আজ স্টেডিয়ামে এত মানুষের ভিড়ে হেলিকপ্টার দেখলাম। দুআ করি বর-বউ যেন ভালো থাকে। রহিম উদ্দিন নামের একজন বলেন, হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আমার জানামতে কুড়িগ্রামে হয় নাই। এইবারেই প্রথম হরিজন সম্প্রদায়ের এক মেয়েকে বিয়ে করে এভাবে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে গেলো।

এ বিষয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাজেদ আলী বলেন, আমরা শৃঙ্খলা রক্ষা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছি। খুব সুন্দরভাবে হেলিকপ্টার অবতরণ করে বর যাত্রীরা আবার চলে গেল।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।