র‍্যাব কার্যালয়ে আনা হয়েছে বান্দরবানে গ্রেফতারকৃত জঙ্গি ও সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যদের

বান্দরবানে র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতারকৃত জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ১৭ জঙ্গি ও কেএনএফ এর ৩ সদস‍্যকে বান্দরবান র‍্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি একে ৪৭ রাইফেল সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গুলি সরঞ্জাম ও নগদ সাত লক্ষ টাকা। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের থানচি লিক্রে সড়কের ২৭ কিলো এলাকায় রংমল পাড়ার কাছে র‍্যাবের সাথে জঙ্গি ও সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এর মধ‍্যে গুলি বিনিময়ের পর অভিযানে ১৭ জঙ্গি ও ৩ কেএনএফ সদস‍্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতে অভিযান সমাপ্তির পর এদের আজ বুধবার সকালে বান্দরবানের র‍্যাব ১৫ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো কুমিল্লার মাহাবুর রহমানের ছেলে সামির রহমান সাদ(১৯), বরগুনার মালেক মোল্লার ছেলে মোঃ সোহেল মোল্লা সাইফুল্লাহ(২২), পটুয়াখালীর ফোরকান ফকিরের ছেলে আল-আমিন ফকির ওরফে মোস্তাক(১৯), কুমিল্লার আব্দুল লতিফ এর ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম ওরফে ওমর ফারুক(২৭), পটুয়াখালীর আনিস মির্জার ছেলে মিরাজ শিকদার আশরাফ ওরফে হোসেন দোলন (২৬), টাঙ্গাইলের দুলাল রহমানের ছেলে ইলিয়াস রহমান তানজিল(৩২), ঝালকাঠির আবু ইউসুফের ছেলে হাবিবুর রহমান মোড়া(২৩), কুমিল্লার মালেক ফরাজির ছেলে মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মাবরুর(২১), বরিশালের নাসির হাওলাদার এর ছেলে আব্দুস সালাম (৩১), কুমিল্লার মাওলানা হুসাইন আহমেদের ছেলে জোবায়ের আহমেদ আইমান(২৯), পটুয়াখালীর মাহবুব মাতব্বরের ছেলে মোহাম্মদ শামীম হোসেন আবু হুরাইরা(২৬), হবিগঞ্জের কুতুবুর রহমানের ছেলে রহমান সোহান মিন্টু(২০), বরিশালের গোলাম মোস্তফার ছেলে মাহমুদ ডাকুয়া(২০), মাগুরার শামসুর রহমানের ছেলে আবু হুরাইরা মিরাজ(২২), এবং পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কে এন এফ এর সদস্য লাল মোল সিয়াম বম, ফ্লাগ ক্রস, মালসম পাংকুয়া(৫২)।

পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মুঈন। তিনি জানান মঙ্গলবারের অভিযানটি ছিল জঙ্গি বিরোধী সবচেয়ে বড় অভিযান। গত অক্টোবর থেকে চলা জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী টানা অভিযানের কারনে জঙ্গি ও সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। সম্প্রতি জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত প্রশিক্ষণের যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে আটককৃত ১৭ জঙ্গিদের মধ্যে পাঁচজন রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হিজরতের জন্য নিখোঁজ হওয়া ৫৫ জঙ্গির মধ্যেও গ্রেফতারকৃত ১৭ জন জঙ্গি রয়েছে। এরা বিভিন্ন সময়ে হিজরতের কথা বলে নতুন গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসারে যোগ দেয়। পরে তারা পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এর ঘাটিতে প্রশিক্ষণ নেয়। এ এপর্যন্ত বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠনের ৩১ সদস্য ও কেএনএফ এর ১৭ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে র‍্যাব কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

র‍্যাব জানায় যারাই অপরাধের সাথে জড়িত থাকবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এবং পাহাড়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও ঐ কর্মকর্তা জানান। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম র‍্যাব ৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মাহাবুব ও র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেঃ কর্নেল মশিউর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।