তারিন তাসনীম, জাবি থেকে: ১৯৯৯ সালের ২রা আগস্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন মানিক 'ধর্ষণ সেঞ্চুরি' উদযাপন করে। পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করা হয় তাকে। এরপর জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট প্রতিবছর পালন করে 'খুনি ও ধর্ষক প্রতিরোধ দিবস' অনুষ্ঠান।
১৯৯৯ সালের ২রা আগস্ট, ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন মানিকের একশ নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষন করে এবং 'ধর্ষণ সেঞ্চুরি' উদযাপন করে। সেদিন হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে মিছিলে মিলিত হয়। শুরু হয় মিছিল এবং মিছিলের অগ্রভাগে থাকা ছাত্রীরা কামালউদ্দিন হলের গেটে লাগানো তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। দখলমুক্ত হয় কামালউদ্দিন হল।এরপর মওলানা ভাসানী হল ও সালাম বরকত হলেও গর্জন উঠে 'খুনি ধর্ষক ভাই ভাই, জাবি-ক্যাম্পাসে ঠাঁই নাই'। এই দিনে ছাত্র সমাজের অভ্যুত্থান দেখে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষক-সন্ত্রাসীদের দল।
এরপর জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট প্রতিবছর পালন করে 'খুনি ও ধর্ষক প্রতিরোধ দিবস' অনুষ্ঠান। আজকের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ। বক্তব্যে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আহমেদ রেজা বলেন '৯৯ এর ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ভীষণ নেক্কারজনক। এই ধরণের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি কখনো না হয় সেজন্য কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার নিশ্চিতের জন্য অধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"
আরও বক্তব্য রাখেন, সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। আয়োজনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ করে। অতিথি সংগঠন হিসেবে আরও অংশগ্রহণ করে 'গণকৃষ্টি'।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর