সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্যভাবে উদ্যাপিত হয়েছে বসন্ত বরণ উৎসব। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আজ পয়লা ফাল্গুন। ফাল্গুনের প্রথম দিনে সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আনন্দমুখর পরিবেশে অ্যাকাডেমিক ভবন-১ থেকে শোভাযাত্রাসহ অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ এসে পৌঁছে। বসন্ত বরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: ফখরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ।
শোভাযাত্রা শেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, বসন্ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নানামাত্রিক সৃষ্টিকর্মে উদ্দীপিত-উৎসাহিত করেছে। তিনি বসন্ত নিয়ে লিখেছেন অসংখ্য গান-কবিতা। তার অমর সৃষ্টি-‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়'। মনে পড়ছে 'ফাল্গুনী', 'বসন্ত' নাটকের কথা। ঋতুরাজ বসন্তকে রবীন্দ্রনাথ দেখেছেন নতুন প্রাণের বার্তাবাহক হিসেবে। জীবনে নতুনের আহ্বানের উদ্বোধক হিসেবে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় তাই বসন্তকে আবাহন করে কবিগুরুর বসন্ত উদ্যাপনের অনুসরণে। আমরা প্রতিবছর ঋতুরাজ বসন্তকে আবাহনের মাধ্যমে ফুলে ফুলে ভরে যাওয়া বাংলার সবুজ প্রান্তরকে নতুন করে বরণ করি।
তিনি আরও বলেন, জরাজীর্ণ শীতের পর বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। বসন্ত অনন্ত সম্ভাবনার ঋতু; প্রেম, বিরহ, মিলন, দ্রোহ-সংগ্রাম, বিজয় অর্জনের স্মৃতিময় সময় খণ্ডের অনন্য নাম বসন্ত।
উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, বসন্ত মানে নতুন করে জেগে ওঠা, নতুন আনন্দে-আশায় রঙিন হয়ে ওঠার সময়। এই শুভক্ষণে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক- ক্ষুদ্রতা, পুরাতনকে পরিহার করে, বিভেদ-ব্যর্থতা ভুলে, নতুন প্রত্যয়ে, নতুন শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার।
১৯৫২ সালের ৮ই ফাল্গুন ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, সফিকসহ নাম না জানা আরও অনেকে। সে আত্মত্যাগ আজ বিশ্বস্বীকৃত। বারবার ফিরে আসুক ফাল্গুন, আসুক বসন্ত, শোক নয়, দুর্বিনীত সাহস আর অপরিমেয় শক্তি হয়।
আলোচনা সভা শেষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষাদের্থীর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় অ্যাকাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর